১২৭ থেকে ১৭৪, ইন্দোনেশিয়ায় লাফিয়ে বাড়ছে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা
Array
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। ১২৭ থেকে তা লাফিয়ে বেড়ে ১৭৪ হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে লাঠিচার্জ করেও কোনও লাভ হয়নি। পরে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। এরপরেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর তাতেই ঘটে যায় এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। এমনটাই জানা গিয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
দ্রুত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
সূত্রের
খবর
মিলছে
সকাল
সাড়ে
৯টায়
মৃতের
সংখ্যা
ছিল
১৫৮
জন।
সেটাই
এক
ঘণ্টার
মধ্যে
বেড়ে
সারে
১০টায়
১৭৪
ছুঁয়ে
ফেলে।
ঘটনায়
১৮০
জন্য
আহত
হয়েছে
বলেও
জানা
গিয়েছে।
একে
বলা
হচ্ছে
বিশ্বের
যে
কোনও
স্টেডিয়ামের
মধ্যে
ঘটা
দুর্ঘটনার
মধ্যে
সবথেকে
ভয়ঙ্কর।
বিপুল সংঘর্ষ
পুলিশ
এটাকে
সংঘর্ষ
বলে
ব্যখ্যা
করছে।
তাঁরা
এও
জানাচ্ছেন,
টিয়ার
গ্যাস
ছুঁড়ে
উত্তেজিত
জনতাকে
আমরা
মাঠ
থেকে
স্ট্যান্ডে
ফেরত
পাঠাতে
চেয়েছিলাম,
কারণ
ওই
সংঘর্ষে
তখনই
দুই
পুলিশ
অফিসার
মারা
গিয়েছিল।
এরপরেও
কোনও
গুলি
বা
কিছু
না
করে
টিয়ার
গ্যাস
ছোঁড়া
হয়।
পুলিশ
জানিয়েছে
অনেকের
উপর
দিয়ে
বহু
মানুষ
মারিয়ে
দিয়ে
চলে
গিয়েছে।
দম
আটকে
মৃত্যু
হয়
অনেকের।
যারা কোনও মতে বেঁচে গিয়েছেন তাদের একজন বলছেন যে, জনতার ভিড়ে টিয়ার সেলের গ্যাস বের হতেই জনতা উদ্ভ্রান্তের মতো পালাতে শুরু করে। তারপরেই এই ঘটনা ঘটে।
ফুটবল ম্যাচে
প্রসঙ্গত
এই
ঘটনা
ঘটে
একটি
ফুটবল
ম্যাচে।
ইস্ট
জাভার
মাঠে
এই
ঘটনা
ঘটে।
আরিমা
এফসি
এবং
পেরেসাবায়া
এফসি'র
মধ্যে
এই
ম্যাচের
পরে
এই
ঘটনা
ঘটে।
দুই
দলের
সমর্থকরা
মারামারি
শুরু
করে
দেন।
বাধ্য
হয়ে
পুলিশ
লাঠিচার্জ
করতে
বাধ্য
হয়।
শেষে
ফাটাতে
হয়
টিয়ার
সেল।
অনেকে
আহত
হন,
তার
সঙ্গে
অনেকে
টিয়ার
গ্যাসের
সেলে
অনেকে
অসুস্থ
হয়ে
পড়েন।
পূর্ব
জাভা
পুলিশের
প্রধান
নিকো
আফটিনা
বলেছিলেন,
আমরা
দেখেছি
যে
মানুষ
আচমকাই
মাঠে
নেমে
পড়েন।
তারপরেই
শুরু
হয়ে
যায়
মারামারি।
একাধিক এমন মারা দাঙ্গার ঘটনা
এর আগেও ইন্দোনেশিয়ায় এমন ফুটবল ম্যাচকে ঘিরে একাধিক এমন মারা দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। দুই ক্লাবের সমর্থকরা। মুহূর্তের মধ্যে তা বড় আকার ধারন করেছে একাধিকবার। পুলিশ প্রত্যেকবারই ঘটনা সামলাতে হিমশিম খেয়েছে। এবারও একই ঘটনা ঘটল। ইন্দোনেশিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই সংস্থাটি ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠার ২২ বছর পর ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার সদস্যপদ লাভ করে, এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠার ২৪ বছর পর ১৯৫৪ সালে সংস্থাটি তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এএফসির সদস্যপদ লাভ করে। এই সংস্থার সদর দপ্তর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অবস্থিত। এই সংস্থাটি ইন্দোনেশিয়ার পুরুষ, নারী এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলের পাশাপাশি ঘরোয়া ফুটবলে লিগা ১, লিগা ২ এবং ইন্দোনেশীয় কাপের মতো প্রতিযোগিতার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মোচামাদ ইরিয়াওয়ান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন ইউনুস নুসি।
তিন দিনে দ্বিতীয়, জঙ্গি নিকেশে ফের এনকাউন্টার উপত্যকায়