ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১৯-এ, জোরালো আফটার শকে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক
ইন্দোনেশিয়ার লোম্বক দ্বীপে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩১৯। রবিবারের জোরালো ভূমিকম্পের পর বৃহস্পতিবার আরও কয়েকটি জোরালো আফটারশক-এ নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে।
ইন্দোনেশিয়ার লোম্বক দ্বীপে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩১৯। রবিবারের জোরালো ভূমিকম্পের পর বৃহস্পতিবার আরও কয়েকটি জোরালো আফটারশক-এ নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে। এদিকে ভূমিকম্পে রাস্তাঘাটের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে, যে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ চালানোটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের হয়ে পড়েছে। ইন্দোনেশিয়ার চিফ সিকিোরিটি মিনিস্টার উইরান্তো জানিয়েছেন আফটার শকের ফলে উদ্ধারের কাজ বারবার ব্যহত হচ্ছে।
এর আগে ইন্দোনেশিয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল প্রায ১৪০০ মানুষ গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন ও প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ গৃহচ্যুত হয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ আশ্রয় পেয়েছেন সরকারি ইভাকুয়েশন সেন্টারগুলিতে। কিন্তু বেশিরভাগই ভেঙে পড়া বাড়ির সামনেই তাঁবু খাটিয়ে বা ত্রিপল টাঙিয়ে রয়েছেন। খাদ্য়, পরিশ্রুত পানীয় জল, মেডিক্যাল হেল্প-এর চুড়ান্ত অভাব।
এরই মধ্যে আবার বৃহস্পতিবার নতুন করে একটি ৫.৯ কম্পাঙ্কের আফটার শক আসে। তাতে নতুন করে বেশ কয়েকটি এলাকায় কিছু বাড়ি ভেঙে পড়ে, অনেক জায়গায় পড়ে গিয়েছে পাঁচিল। ইভাকুয়েশন সেন্টারগুলিতে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায়।
উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে ইন্দোনেশিয় কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক রিলিফ গ্রুপগুলির সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে লোম্বকের ভৌগলিক গঠন। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় ভহু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতেই এখনও পৌঁছনোই য়ায়নি। ভূমিকম্পে দ্বীপটির রাস্তাঘাটও অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনেক দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারলেো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিয়েছেন এখনও বহু মানুষের কাছেই খাবার বা জল কিছুই নেই। রেড ক্রসের কর্মীরাও বলছেন রবিবারের ভূমিকম্পটি এমনিতেই ধ্বংসাত্মক ছিল, এবং দিন দিন তার ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বৃহস্পতিবার প্রায় ২০০টি গাড়ি ভর্তি করে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে ত্ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে। কিন্তু তাও প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। ইন্দোলেশিয় রেড ক্রশ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ১০ টি মোবাইল মেডিক্যাল অউনিট খুলেছে, একটি অস্থায়ী হাসপাতালও গঠন করা হয়েছে। সেখানকার ডাক্তাররা জানিয়েছেন অধিকাংশ রোগীই আসছেন মাথায় আঘাত বা হাড় ভাঙা নিয়ে। কিন্তু তাঁদের অপারেশন করার মতো প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ফিল্ড হাসপাতালে নেই। ত্রাণ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি জানাচ্ছে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা শিশুদের। অধিকাংশকেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে, নেই গরম কাপড় বা কম্বল।