২৩ এপ্রিল মৃত্যুগ্রহের আবির্ভাবে ধ্বংস হচ্ছে পৃথিবী! নতুন ঘোষণায় শোরগোল সারা বিশ্বে
এবার নাকি সত্যিই পৃথিবী ধ্বংস হতে চলেছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার কথা ছিল। তা হয়নি। সেইসময়ে তা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছিল। বিজ্ঞানী-অবৈজ্ঞানিক মহলে প্রচুর আলোচনাও চলেছিল। যদিও আমরা সকলেই বহাল তবিয়তে বেঁচে রয়েছে। পাল্টে গিয়েছে একটি বছর। তবে এবার নাকি সত্যিই পৃথিবী ধ্বংস হতে চলেছে। নতুন এই দাবি ঘিরে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে।
ধ্বংস হতে চলেছে পৃথিবী
বলা হচ্ছে একসঙ্গে পৃথিবীর সমস্ত জনপদ ও জীবন ধ্বংস হতে চলেছে। আগামী ২৩ এপ্রিল সেই কালো দিন। সেদিন মৃত্যু গ্রহ বা ডেথ প্ল্যানেট-এর আবির্ভাব হবে মহাকাশে। যার ফলে নিশ্চিত হবে পৃথিবীর ধ্বংস।
নিবিরুর কারণে ধ্বংস
এই মৃত্যু গ্রহের নাম নিবিরু। বলা হচ্ছে, ২৩ এপ্রিল সূর্ষ, চাঁদ ও শুক্র গ্রহ এক সরলরেখায় চলে আসবে। যিশু খ্রিস্টকেও এই প্রসঙ্গে টেনে আনা হয়েছে। এই কাজটি করেছেন কন্সপিরেসি থিওরিস্ট বা ষড়যন্ত্রকারী তত্ত্বের প্রবক্তারা।
সেপ্টেম্বরের পরে এপ্রিল
কন্সপিরেসি থিওরিস্ট ডেভিড মিয়াডে এই ঘোষণা করেছেন। এর আগে গতবছরের সেপ্টেম্বরের ক্ষেত্রেও একই ঘোষণা তিনি করেছিলেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের আগামী ২২ এপ্রিল আর্থ ডে। তার পরের দিনই পৃথিবী ধ্বংসের দাবির মধ্যে কোন রহস্য আছে তা নিয়ে প্রশ্ন করছেন অনেকেই।
নাসার অস্বীকার
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা অবশ্য এই তত্ত্বকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে। নিবিরু নামে কোনও গ্রহ মহাকাশে নেই বলেই জানিয়েছে। ফলে আগামী ২৩ এপ্রিল পৃথিবীর ধ্বংসের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে স্পষ্ট করা হয়েছে।
প্রবক্তারা মানতে নারাজ
নাসার দাবি সত্ত্বেও কন্সপিরেসি থিওরিস্টরা তা মানতে নারাজ। উল্টে তারা বলছেন নাসা ও এমন অনেক ক্ষমতাশালী সংস্থা বা গোষ্ঠী আসল ঘটনা সামনে আনতে চায় না। তা ঢেকে দিতে চায়। ইচ্ছে করেই নিবিরু-র অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হচ্ছে।
নিবিরু কল্পনা নয়
কন্সপিরেসি থিওরিস্টদের মতে, নিবিরু কোনও কাল্পনিক ভাবনা নয়। এই গ্রহ মহাকাশেই রয়েছে। এবং পৃথিবীর কাছাকাছিই রয়েছে। বলা হচ্ছে, দশ হাজার বছর আগে পৃথিবীর একটি সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল কারণ নিবিরু কাছাকাছি চলে এসেছিল। এবারও সেরকম কিছুই ঘটতে চলেছে।
এর আগেও একাধিক ঘোষণা
ঘটনা হল ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে, ২০১৬ সালের এপ্রিল ও ডিসেম্বরে, ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বরে পৃথিবীর ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল। তবে তার কোনওটাই মেলেনি। নিবিরু গ্রহকে কখনও মহাকাশে দেখা যায়নি। কোনও বিজ্ঞানী এই তত্ত্বকে বিশ্বাস করেন না।