৫-জি নিয়ে জাপান-আমেরিকার সঙ্গে ডেটা যুদ্ধে নামতে চায়না ভারত, জি-২০ সম্মেলনে বার্তা মোদী সরকারের
৫-জি পরিষেবা চালু করা নিয়ে জট কিছুতেই কাটছে না।
৫-জি পরিষেবা চালু করা নিয়ে জট কিছুতেই কাটছে না। ডেটা নিয়ে আমেরিকা এবং জাপানের মধ্যে যে ঠান্ডা লড়াই চলছে তার জেরেই তৈরি হয়েছে এই সংকট। জাপানের ওসাকায় জি-২০ সামিটে ভারত একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ৫-জি ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়েও আলোচনা করছে।
দেশের বিদেশ সচিব, বিজয় গোখেল জানিয়েছেন, আমেরিকা এবং জাপানের মতো উন্নত দেশের পর্যায়ে পড়ে না ভারত। এখনও আমরা উন্নয়নশীল দেশের তালিকাতেই রয়েছি। কাজেই ডেটা নিয়ে যে ঠান্ডা লড়াই আমেরিকা এবং জাপানের মধ্যে চলছে তা নিয়ে বিশেষ আগ্রহী নয় ভারত। কারণ ভারত গত কয়েক বছর হল ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করেছে।
এখনও গোটা দেশে সেভাবে কার্যকর হয়নি এই ডিজিটাল মার্কেটিং পরিষেবা। এটা পূর্ণ রূপ পেতে আরও কয়েক বছর লাগবে। সেকারণেই ভীষণভাবে জরুরি ৫জি ইন্টারনেট পরিষেবা। এই বিষযে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম মেনেই ভারত কাজ করবে বলে জানিয়েছে।
এবার জি-২০ সামিটে ডেটা ফ্রি ফ্লো উইথ ট্রাস্ট (DFFT) ঘোষণা করেছে জাপানের প্রধান মন্ত্রী শিনজো আবে। কযেকদিন আগেই ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল ভারতের সব শিল্পসংস্থা এমনকী বহুজাতিক সংস্থাকেও তাঁদের যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের ডেটা ভারতের সার্ভারে রাখতে হবে। যা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে, গুগল, অ্যামাজন, মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ডের মতো সংস্থাগুলি।
আমেরিকা এর কড়া সমালোচনা করে বলেছিল এতে দুই দেশের বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে। এই নিয়ে চিন এবং ভারতের কড়া সমালোচনাও করেছে আমেরিকা। ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন এতে ডিজিটাল গোপনীয়তা বিপন্ন হবে। ডিজিটাল লেনদেনে ঘাটতি দেখা দেবে।
এক কথায় ভারত যে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যহত হবে এমনই বলতে চেয়েছেন তিনি। যদিও ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে মোদী প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেছিলেন ডেটা নিজেই আসলে একটি সম্পদ। যেটা একটা উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে ভীষণ ভাবে দরকারি।