সৌদি-রাশিয়া সহ একাধিক দেশের ঐতিহাসিক চুক্তির ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম পৌঁছাল কততে?
দীর্ঘ দিন একটানা পড়ার পরে বিশ্ব বাজারে ফের মাথা তুলেছে তেলের দাম। সোমবার মার্কিন বেঞ্চমার্ক অনুযায়ী অপরিশোধিত তেলের দাম ৩.৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ব্যারেল প্রতি ২৩.৬২ ডলার। এদিকে এশিয়ান বাজারে সেই দাম ৩.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ব্যারেল প্রতি ৩২.৪৫ ডলারে।
দৈনিক ৯৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত
মূলত সৌদির নেতৃত্বে ওপেক ও রাশিয়ার নেতৃত্বে ওপেক প্লাসের ঔতিহাসিক চুক্তির জেরেই এই দামের উত্থান। দৈনিক ৯৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের ওপেক প্লাস ও অন্য তেল উৎপাদক মিত্রদেশগুলো। বিশ্বের মোট উৎপাদনের ১০ শতাংশ কমে যাবে এর জেরে। রবিববার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বিষয়ে তারা সম্মত হয়।
রাশিয়া সহ তেল উৎপাদক দেশের সমন্বয়ে গঠিত ওপেক প্লাস
৯ এপ্রিল রাশিয়াসহ তেল উৎপাদক ও মিত্রদের সমন্বয়ে গঠিত ওপেক প্লাস এই সমঝোতার জন্য পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল। তবে তাতে বাদ সাধে মেক্সিকো। তবে জানা যাচ্ছে রবিবারের বৈঠকের পর তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে প্রতিটি দেশই।
করোনার প্রাদুর্ভাবে বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা কমে গেছে
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা কমে গেছে ব্যাপকভাবে। মার্চের শেষে ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে তেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে তেলের উৎপাদন কমিয়ে বাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা চলছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওপেক প্লাস দেশগুলো প্রতিদিন ৯৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে। ব্রাজিল ও কানাডা কমাবে আরও ৩৭ লাখ ব্যারেল। কিন্তু জি-২০-এর অন্য দেশগুলো এখন কী পরিমাণ তেল উৎপাদন কমাবে, তা জানানো হয়নি।