অপরিশোধিত তেলের দাম তলানিতে তারপরেও কেন কমছে না পেট্রোলের দাম
অপরিশোধিত তেলের দাম তলানিতে তারপরেও কেন কমছে না পেট্রোলের দাম
করোনা সংকটে তলানিতে এসে ঠেকেছে আমেরিকার অপরিশোধিত তেলের দাম তারপরেও কমছে না পেট্রোল, ডিজেলের দাম। আমেরিকা থেকে ভারত বছরে ৮৩ শতাংশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করে থাকে। ভারতের এই আমদানির উপরেই আমেরিকার সিংহভাগ বাণিজ্যিক লাভ নির্ভর করে। সাধারণত দুবাই, ওমান, ব্রেন্ট ক্রুড থেকে তেল আমদানি করে ভারত। তাই ডব্লুটিএ-র তেলের দামে তেমন প্রভাব পড়েনি। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড অয়েল মূলত আমেরিকা, কানাডা এবং মেক্সিকোর বাজারের উপর নির্ভর করে থাকে।
দাম কমছে না তেলের
লকডাউনের প্রভাব পড়েছে তেলের বাজারেও। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অপরিশোধিত তেলের দাম একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। কিন্তু তারপরেও পেট্রোল ডিজেলের দাম কমছে না ভারতে। ভারত সাধারণত ওমান, দুবাই এবং ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল থেকে তেল কেনে। লকডাউনের কারণে ভারতের আমানি ৫ শতাংশ কমেছে। কিন্তু তারপরেও তেলের দাম কমছে না। এখনও ব্যারেল প্রতি ২৫ মার্কিন ডলারের হিসেবেই তেল কিনছে ভারত। যে তুলনায় ডব্লুটিএ অনেকটাই সস্তা হয়ে গিয়েছে।
কেন কমছে না তেলের দাম
ভারতে তেলের দাম না কমার অন্যতম কারণ হল সঞ্চয় ক্ষমতা কম। ভারতের সঞ্চয় করে রাখার ক্ষমতা কম। যার কারণে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অপরিশোধিত তেলের দাম কম থাকলেও সেটা কিনে সঞ্চয় করে রাখতে পারছে না। আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী ভারত ১৫ মিলিয়ন টন তেল কিনে রাখতে পারে। কিন্তু সঞ্চয় ক্ষমতার অভাবে মাত্র ৫,৩৩ মিলিয়নের বেশি তেল কিনতে পারছে না ভারত। এই লকডাউনের বাজারে দেশে তেলের চাহিদা একেবারেই নেই। দেশের সব তৈল শোধনাগার গুলিতে আগের তেলই সঞ্চিত হয়ে পড়ে রয়েছে। তাই অতিরিক্ত তেল কিনে সঞ্চয় করে রাখতে পারছে না ভারত।
কর আরোপ
ভারতে তেলের দাম না কমার আরেকটি অন্যকম কারণ হল কর। সরকার পেট্রোল, ডিজেলের দামের উপর একাধিক কর আরোপ করে থাকে। কারণ জ্বালানি তেলের উপর কর আরোপ করলে সহজে কোষাগার ভরা যায়। পেট্রোনে লিটার প্রতি ২২.৯৮ টাকা কর বসানো রয়েছে। আর ডিজেলে ১৮.৯৩ টাকা কর আরোপ করেছে সরকার। এই কর আরোপ প্রতিমাসে বেড়েই চলে। যার কারণেই তেলের দাম কমার সম্ভাবনা একেবারেই নেই ভারতে