১৪০ বছরে প্রকৃতির এই বিধ্বংসী রূপ দেখেনি ক্রোয়েিশয়া, ধ্বংসস্তূপ শহর, হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
১৪০ বছরে প্রকৃতির এই বিধ্বংসী রূপ দেখেনি ক্রোয়েিশয়া, ধ্বংসস্তূপ শহর, হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
২০২০-র কান্না েযন থামছে না আর। বর্ষ শেষে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ক্রোয়েশিয়া। মুহুর্তে ধুলিসাৎ শহর। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বড় বড় বিল্ডিং। প্রথমে কেউ মারা যাননি বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ যত সরছে তত দেহ বেরিয়ে আসছে। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আহত তো অগুনতি। সেটা সংখ্যায় প্রকাশ না করাই ভাল। ভমিকম্প প্রবণ এলাকা হলেও এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি গত ১৪০ বছরে কখনও দেখেনি ক্রোয়েশিয়া।
রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.২। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে ৭ জন মারা গিয়েছেন। কমপক্ষে ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে সেনা বাহিনী। পেট্রিনজা শহর একেবারে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। গৃহহীন অসংখ্য মানুষ। ৫০০টি টেন্ট তৈরি করে তাঁদের ত্রাণ শিবিরে রাখার বান্দোবস্ত করা হয়েছে। ২০,০০০ মতো বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্রোয়েশিয়ায়। ১৮৮০ সালের পর এই ধরনের বড় কোনও ভূমিকম্প হল ক্রোেয়শিয়ায় এমনই মনে করা হচ্ছে।
১৯৬৩ সালে একবার যুগোস্লোভিয়ায় হয়েছিল জোরাল ভূমিকম্প। তাতে প্রায় ১০০০ জন মারা গিয়েছিলেন। ৮০টা শহর ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল। সেই রকমই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ক্রোয়েশিয়ায়। এতোটাই ভয়াবহ হয়েছে ভূমিকম্প যে একটি শহর পুরো গুঁড়িয়ে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতি থেকে সামলে উঠতে অনেক দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি সেনা নামিয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। প্যাট্রিনজা শহরটি বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নন্দীগ্রাম হাসপাতালে শুভেন্দু, ফের গণ আন্দোলন হতে সময় লাগবে না, হুঙ্কার প্রাক্তন বিধায়কের