কোভিড–১৯ কোনও বৈষম্য মানে না, আমেরিকায় প্রথম শিশু মৃত করোনাতে
কোভিড–১৯ কোনও বৈষম্য মানে না, আমেরিকায় প্রথম শিশু মৃত করোনাতে
করোনা ভাইরাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মৃত শিশু আগে সুস্বাস্থ্যের অধিকারি ছিল। মঙ্গলবার জানিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র এরিক গারসেটি। কোভিড–১৯–এর ভয়াল থাবা গোটা বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনযাত্রাকে আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছে। অধিকাংশ দেশে লকডাউনের ফলে সকলেই গৃহবন্দী হয়ে রয়েছেন।
করোনায় মৃত শিশু
লস অ্যাঞ্জেলস থেকে কিছুটা উত্তরদিকে ল্যানচেস্টারের বাসিন্দা ছিল ওই শিশু। জনস্বাস্থ্য আধিকারিকরা এই খবর প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে এই রোগটি শিশুদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। মেয়র বলেছেন, ‘ওই কিশোরের ভালো স্বাস্থ্য ছিল'। তিনি আরও বলেন, ‘বাইরে যে সব তরুণ-তরুণীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, এই রোগটি তাদেরকেও আক্রান্ত করতে পারে। তোমার আচরণ একটা জীবন বাঁচাতে পাবে ও একটা জীবনকে শেষ করতে পারে। আর সেই জীবনটা তোমারও হতে পারে।'
কোভিড–১৯ যে কোনও কারোর হতে পারে
করোনায় মৃত শিশুর পরিচয় ও লিঙ্গ গোপন রাখা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলসের জনস্বাস্থ্য ডিরেক্টর বারবারা ফেরর সার্স-কোভি-২ ভাইরাসজনিত রোগের জন্য বৈজ্ঞানিক শব্দটি ব্যবহার করে বলেন, ‘কোভিড-১৯ বয়স, জাতি বা উপার্জনের বৈষম্য করে না।' বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কোভিড-১৯ সামঞ্জস্যহীনভাবে বয়স্ক ব্যক্তিদের ও যাঁরা অসুস্থ তাঁদেরকেই আক্রান্ত করছে। সিডিসির রিপোর্টে পাওয়া গিয়েছে যে আমেরিকায় ১৬ মার্চ পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ অপ্রাপ্তবয়স্করা কম অসুস্থ হয়েছে এবং তাদের আইসিইউতে রাখার প্রয়োজন হয়নি বা কোনও মৃত্যুও হয়নি।
বয়স বাড়লেই কোভিড–১৯–এর ঝুঁকি বাড়ছে
আরও এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে কোভিড-১৯-এ গুরুতরভাবে আক্রান্ত ও ও মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে বয়স্কদের মধ্যে। একমাত্র চিনে দু'জন অপ্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যুর খবর রেকর্ড হয়েছে। একটি কেসে এক শিশু আগে থেকেই অসুস্থ ছিল এবং দ্বিতীয় কেসটি জানা যায়নি। সিডিসি তাদের রিপোর্টে বলেছে, ‘কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঝুঁকি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে।' আমেরিকার মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়াতে এই মহামারি ভালোরকম আঘাত হেনেছে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে যে লস অ্যাঞ্জেলসে ১০ মিলিয়ন মানুষ বাস করে। তার মধ্যে ৬৬২ জন আক্রান্ত কোভিড-১৯-এ ও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনা রুখতে ভারতের লকডাউনের পদক্ষেপ নিয়ে কী বলল WHO, সংক্রমণ কি কমবে দেশে?