For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

কোভিড: রোগীর সকল তথ্য ও সেবার কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা কত দুর?

করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের ঘাটতি যে কতটা প্রবল তার একটি করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে।

  • By Bbc Bengali

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার তথ্য পেতেহ নাকাল হতে হয় প্রায়শই।
Getty Images
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার তথ্য পেতেহ নাকাল হতে হয় প্রায়শই।

করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা কতটা ভঙ্গুর তা যেমন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, তেমনি জনগণের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের ঘাটতিও যে কতটা প্রবল তারও একটি করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে।

পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশে জনগণের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যকর্মী, সবকিছু মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা রয়েছে যেমন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস। কিন্তু এরকম ব্যবস্থার অভাবে বাংলাদেশে সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা সহ মহামারি ব্যবস্থাপনা, কোভিড প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রমে দেখা গেছে ব্যর্থতা।

কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় যেখানে তথ্য পাওয়ার জন্য লোকজনকে হিমশিম থেকে হয় সেখানে এ ধরণের সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে তোলা কতটা সম্ভব বা সে ধরণের কোন চেষ্টা আছে কি না- তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

যেখানে সব দায়িত্ব রোগীদের নয়

লন্ডনের পাতাল রেলে চড়ে নিজের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি ফ্লোরা ফেরদৌসি। ১২ বছর হল এই শহরে বসবাস করছেন।

তার সাথে যখন টেলিফোনে কথা হচ্ছিল, তখন তিনি স্টেশন থেকে বের হয়ে দ্রুত হাঁটছিলেন।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস বা এনএইচএস-এ কর্মরত ফ্লোরা ফেরদৌসি বলছিলেন সেখানে যেকোন একজন সাধারণ নাগরিককে তার এলাকায় নিবন্ধিত হতে হয়।

“আপনি যে এলাকায় থাকবেন সেখানে কয়েকজন জিপি থাকেন, যাদের আমরা জেনারেল প্রাকটিশনার বলি, তাদের একজনের সাথে আপনাকে রেজিস্টার করতে হয়। আপনার যেকোনো সমস্যা হলে আপনি প্রথমে জিপিকে কল করবেন। ওরা আপনাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেবে, ওরাই কল করে জানাবে কখন আসতে হবে।”

আর একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলছিলেন, “এছাড়া যেমন ধরুন জরায়ুর মুখে ক্যান্সার। এখানে প্রতি তিন বছর পরপর মেয়েদের পরীক্ষা করাতে বলে। ওরাই আপনাকে ফোন করে জানাবে যে পরীক্ষার তারিখ এগিয়ে এসেছে বা পার হয়ে গেছে, স্যাম্পল দিয়ে যাওয়ার জন্য তাগাদা দেবে।”

বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন:

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার সাতটি উপায়

হোয়াইট ফাঙ্গাস বা সাদা ছত্রাক করোনা রোগীদের জন্য নতুন আতঙ্ক

বাংলাদেশে কি করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন সম্ভব?

করোনাভাইরাসেরমহামারি শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের ঘাটতির করুন চিত্র ফুটে উঠেছে।
BBC
করোনাভাইরাসেরমহামারি শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের ঘাটতির করুন চিত্র ফুটে উঠেছে।

শুধু পরীক্ষা আর ডাক্তারের সাক্ষাতের কথা মনে করিয়ে দেয়াই নয়, পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশেই একজন নাগরিকের স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল তথ্য, তার শারীরিক সমস্যা, কোন এলাকায় একটি শিশুর জন্ম হয়েছে, কোথায় একজন বয়স্ক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে সেবা দিতে হবে, কোন পরিবারে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা দরকার, এরকম বিস্তারিত তথ্য দেশটির স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কাছে সংগৃহীত থাকে।

এসব তথ্য প্রতিনিয়তই হালনাগাদ হতে থাকে। প্রতিবার চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে যাওয়ার সাথে সাথেই তা সিস্টেমে তুলে দেয়া হয়। এর উপরে ভিত্তি করে চলে পুরো দেশের সবার স্বাস্থ্যসেবা।

করোনাভাইরাসের মতো বৈশ্বিক মহামারির ব্যবস্থাপনা এবং নাগরিকদের কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনার ক্ষেত্রে যা তাদের ব্যাপক কাজে এসেছে।

কারা অগ্রাধিকার পাবেন সেই তথ্য পাওয়া যায় কম্পিউটারে মাত্র কয়েকটি কমান্ড দিলেই। রোগী নিজেও বহু তথ্য খুব সহজে পেয়ে যান। বাংলাদেশে বসে এমন ব্যবস্থাকে স্বপ্নের মতো মনে হতে পারে।

বাংলাদেশে যেভাবে রোগীর তথ্য রাখা হয়

বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে গেলেই দেখা যায় প্রতিদিন রোগশোকে কাতর মানুষজন কিভাবে হিমশিম খাচ্ছেন। এদেশে শুধু স্বাস্থ্যসেবার তথ্য পেতেই নাকাল হতে হয় প্রায়শই।

সে সম্পর্কিত সকল দায়িত্ব রোগী অথবা তার স্বজনদের। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের গাইনি অঙ্কোলজি বিভাগের প্রধান ডা. রোকেয়া আনোয়ার বলছেন, তারা এখনো সবকিছু খাতায় নথিভুক্ত করেন।

তিনি বলছেন, “একজন রোগী যখন প্রথম হাসপাতালে আসে তখন আমাদের একটা রেজিস্ট্রেশন রুম আছে সেখানে দুইজন রেকর্ড কিপার সবার তথ্য কম্পিউটারে তোলেন। এরপর যার যে বিভাগে যেতে হবে সেখানে পাঠানো হয়। এখন আমার গাইনিতে যখন পেশেন্ট আসে, সিস্টার তাদের রিসিভ করে। সে রোগ অনুযায়ী ভাগ করে আলাদা রুমে পাঠায়। রোগ অনুযায়ী আলাদা খাতায় রোগীর বিস্তারিত তথ্য তুলে রাখে।

একজন রোগী প্রথম আসার পর থেকে যতবার ভিজিট করবেন ততবার এমনকি তার মৃত্যু পর্যন্ত নির্দিষ্ট খাতায়, একটা নির্দিষ্ট পাতায় তার সকল তথ্য লেখা হয়, যা কম্পিউটারেও তোলা হয়।”

কিন্তু এত বিশাল সংখ্যক রোগীর তথ্য খাতায় টুকে রাখা একটা জটিল সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলছেন, “যেমন গত পাঁচ বছর ধরে আমরা এটা ম্যানুয়ালি করছি। এইরকম খাতায় তুলতে তুলতে, পাঁচ বছর ধরে প্রতিটা খাতায় দুশো পাতা যদি ধরেন আমাদের খাতার প্রচুর ভলিউম দাঁড়িয়ে গেছে। তবুও আমরা অথেনটিক ওয়েতে রেকর্ড-কিপিং করার চেষ্টা করছি।”

এভাবেই চলছে বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালের কার্যক্রম। ডা. রোকেয়া আনোয়ার বলছেন, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগে বিভ্রাট, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডেটা এন্ট্রি কর্মী না থাকার কারণে এসব তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে তোলা প্রায়শই ব্যাহত হয়।

তাই খাতাই এখনো তাদের মূল ভরসা। তিনি বলছেন, রোগী সম্পর্কে সঠিক ও পর্যাপ্ত তথ্য না থাকলে স্বাস্থ্য সেবায় কি সমস্যা হয়।

“রেকর্ড কিপিং ছাড়া ধরুন আমি বলতে পারবো না আমার কয়টা রেডিয়েশন মেশিন লাগবে, আমার কয়জন রোগী ভাল আছে, কয়জনের সার্জারি লাগবে, ৩০ বছরের নিচে কয়জনের ক্যান্সার হচ্ছে, ৪০-এর উপরে কয়জনের হচ্ছে, কে আমার কাছে চিকিৎসার জন্য আর আসছেন না। এসব যদি আমি না জানি তাহলে আমি ওভারঅল আইডিয়া পাবো না যে কাকে প্রাধান্য দেবো। এসব গ্যাপ ফিল-আপ করার জন্য রোগীর তথ্য সংগ্রহে থাকা খুব জরুরি। রেকর্ড-কিপিং করতে আমাদের অত্যন্ত কষ্ট হচ্ছে, তবুও আমরা করে যাচ্ছি।”

পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা রয়েছে।
Getty Images
পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা রয়েছে।

এখনই শুরু করার সঠিক সময়

বাংলাদেশে সমন্বিতভাবে সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংগৃহীত তথ্যের আদান প্রদান, স্বাস্থ্যসেবার সাথে সংযুক্ত নানা বিভাগ, হাসপাতাল, চিকিৎসক সবার কাছে সেই তথ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর জনগণের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের ঘাটতি যে কতটা প্রবল তার চিত্র আরও একবার ফুটে উঠেছে।

যেমন মহামারির সময় সম্মুখসারির কর্মী বাদে সাধারণ জনগণের মধ্যে চিকিৎসা ও টিকার ক্ষেত্রে কারা অগ্রাধিকার পাবেন সেটি পরিষ্কার করে বলা হয়েছে।

যেমন জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, বেশি বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা। কিন্তু তাদের চিহ্নিত করার কোন ব্যবস্থা নেই, যদি না রোগী নিজে এগিয়ে না আসেন।

একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষজন সেটাই করেছেন। নিজ দায়িত্বে সকল খবর নিয়ে তারা সেবা নিচ্ছেন।

কিন্তু ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি রোগের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত একজন দরিদ্র মানুষকে খুঁজে তাকে সেবা দেয়ার বিষয়টি এখানে ঘটতে দেখা যায় না কারণ তাকে চিহ্নিত করার কোন ব্যবস্থা নেই।

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের গবেষকদের একজন অধ্যাপক শারমিন ইয়াসমিন বলছেন, একটি দেশের জনগণের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যভাণ্ডার, রোগীদের দরকারমত চিহ্নিত করার সক্ষমতা খুব জরুরি এবং এই মহামারির সময়েই সেটি গড়ে তোলার উপযুক্ত সময়।

তিনি বলছেন, “স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আমাদের ডেটার খুব অভাব। আগে থেকে একটা সিস্টেম দাঁড় করানো থাকলে, যেভাবে দ্রুত গতিতে আমরা সেটাকে কাজে লাগাতে পারতাম, তা এখন পারছি না। এখন প্যান্ডেমিকের সময় এটাকে যদি খুব গুরুত্ব দেয়া হয়, যে এভিডেন্স বেইজড হেলথ সিস্টেমের কথা আমরা বলি, অথবা যে ইনফরমেশন দরকার তা যদি আমরা সিস্টেমের মধ্যে ঢুকাতে পারি তাহলে শুধু রোগী নয় অনেক সুস্থ মানুষের চেক-আপ দরকার, অসংক্রামক অসুখের জন্য স্ক্রিনিং করতে হয়, শিশুকে টিকা দিতে হয়, প্যান্ডেমিক এবং প্যান্ডেমিক পরবর্তী সময়েও আমরা রোগী এবং সুস্থ ব্যক্তি, সবার জন্য সেবা দিতে পারবো।”

করোনার সময়েও অনেককে চিকিৎসার জন্য নানা হাসপাাতালে ঘুরতে হয়েছে
Getty Images
করোনার সময়েও অনেককে চিকিৎসার জন্য নানা হাসপাাতালে ঘুরতে হয়েছে

কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার ক্ষেত্র প্রস্তুত

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশে এর ক্ষেত্র ইতিমধ্যেই প্রস্তুত হয়ে গেছে।

বিশেষ করে করোনাভাইরাসের মহামারি শুরু হওয়ার পর সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক যেসব ওয়েবসাইট চালু হয়েছে তাতে এর একটি ধারনা পাওয়া যায়। বিচ্ছিন্নভাবে নানা প্রকল্পের আওতায় জাতিয় ও জেলা পর্যায়েও নানা পাইলট প্রকল্প চালু রয়েছে।

যেমন স্বাস্থ্য বাতায়ন, যেখানে কল করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া যায়। সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসক সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। যেখানে বহু রোগীর তথ্য ইতিমধ্যেই সংগৃহীত থাকার কথা।

গর্ভবতী, প্রসূতিদের জন্য পাইলট প্রকল্পের আওতায় আলাদা হটলাইন, টেক্সট মেসেজের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখান থেকেও তথ্য সংগ্রহে রাখা সম্ভব।

রয়েছে বিশাল তথ্যভাণ্ডার জাতিয় পরিচয়পত্র প্রকল্পের ডেটাবেইজ।

অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থা, ডিজিটাল হেলথ কেয়ার সলিউশানস-এর পরিচালক মোঃ মুনির হাসান বলছেন, নানা প্রকল্পের আওতায় এরকম বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে ওঠা স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমকে জোড়া লাগিয়ে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা দাঁড় করানো বাংলাদেশেও সম্ভব যার।

যার একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলছেন, একজন রোগী যখন চিকিৎসা নিতে কোন প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছেন তারা কিন্তু সেখানে অনেক তথ্য দিচ্ছেন।

আমরা যদি তা একটা ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমের মধ্যে এন্ট্রি করতে পারতাম এবং এই সমস্ত সিস্টেম যদি ইন্টার-কানেকটেড হতো তাহলেই এটা সম্ভব।

“খুব ছোট পরিসর থেকে যদি চিন্তা করি, ধরুণ একটা গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। সেখানে যদি একটা ডিজিটাল সিস্টেম চালু করি যে ওইখানে যারা যাবেন তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও তার দেয়া তথ্যগুলো নেব। তাহলে ওইখানেই তার ও তার পরিবারের সবার তথ্য পাওয়া সম্ভব। তার পরিবারে শিশু কয়জন, গর্ভবতী কেউ আছে কিনা, জটিল রোগে আক্রান্ত কেউ আছে কি না ইত্যাদি। যেহেতু ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড, আপনি চাইলেই যেকোনো সময় সেগুলো ইন্টিগ্রেট করতে পারেন। তখন পরিবর্তিতে সবগুলো সিস্টেমকে জোড়া দিয়ে বড় সিস্টেম তৈরি করতে পারবেন।”

গত বেশ কিছুদিন যাবৎ বাংলাদেশে সবকিছুকে ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় আনার কথা বলা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সরাসরি তত্ত্বাবধানে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশান সিস্টেম মিলিত হয়ে স্বাস্থ্যখাতে কিছু কাজ করছে যা চোখে পড়ছে।

শুধু টিকা কার্যক্রম নিয়ে সমন্বিত চেষ্টা থাকলেও সব তথ্য সঠিক ভাবে আসে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে
Getty Images
শুধু টিকা কার্যক্রম নিয়ে সমন্বিত চেষ্টা থাকলেও সব তথ্য সঠিক ভাবে আসে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে

কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার সম্বলিত পরিষেবা কত দূরের ব্যাপার?

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টরদের একজন ডা. রোবেদ আমিন বলছেন, “যদি সরকারি হাসপাতালকে পুরোপুরি অটোমেশনের আওতায় আনা যায় এবং একটা ইউনিক সিস্টেম তৈরি করা যায় তাহলে হয়ত সম্ভব হতে পারে। ওদের দেশে (পশ্চিমের দেশে) সুবিধা হচ্ছে মানুষতো একটা ইউনিক আইডি পায়, তাতে সব তথ্য চলে আসে।”

তিনি বলছেন পুরো স্বাস্থ্যসেবা খাতকে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার আওতায় আনতে আরও অন্তত ১৫ থেকে ২০ বছর লাগবে।

কিন্তু ইতিমধ্যেই জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের হাতের নাগালে সোয়া ১১ কোটি নাগরিকের যে বিশাল তথ্যভাণ্ডার রয়েছে তার সাথে ব্যক্তির স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো কয়েকটি তথ্য সংযুক্ত করা কি খুবই দুরের ব্যাপার?

কারণ জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স, ঠিকানা, পারিবারিক পরিচয়, আঙুলের ছাপ, রক্তের গ্রুপ এসব তথ্য রয়েছে।

এই কার্ডটি দরকার হয় মোবাইল ফোন ও ব্যাংকিং সেবা থেকে শুরু করে অন্তত কুড়িটি সেবার ক্ষেত্রে।

ডা. আমিন বলেছেন, “জাতীয় পরিচয়পত্র এখন সবার নেই বিশেষ করে শিশুদের। ১৮ বছরের আগে তো আইডি হয় না। সবার ইউনিফর্ম একটা জন্ম নিবন্ধনের সিস্টেমও থাকতে হবে।”

তিনি বলছেন, “বিশাল জনসংখ্যার সকল তথ্যের ডিজিটাইজেশন ছাড়া এটা সম্ভব নয়। বিভিন্ন অসুখের তথ্য আলাদা স্পেকট্রামে হয়ত আছে, কিন্তু সবকিছুকে একটি প্ল্যাটফর্মের আওতায় আনার জন্য, সেটা জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে করা যায় কিনা, শিশুদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে করা যায় কিনা, এসব কিন্তু আমাদের মাথায় আছে।”

English summary
Covid: How far is the central system of all patient information and services in Bangladesh
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X