কোভিড–১৯ ব্রিটেন ও আমেরিরায় প্রাণ কাড়তে পারে লক্ষ লক্ষ মানুষের, দাবি নতুন সমীক্ষার
কোভিড–১৯ ব্রিটেন ও আমেরিরায় প্রাণ কাড়তে পারে লক্ষ লক্ষ মানুষের, দাবি নতুন সমীক্ষার
কোভিড–১৯ বা করোনা ভাইরাস। কয়েক দশক পর এরকম মহামারি দেখা দিল বিশ্বে। এরকমই এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ব্রিটেনে এই সংক্রমক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটতে পারে বহুজনের। তাই ব্রিটিশ সরকারকে করোনা ভাইরাস নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে যারা অসুস্থ রোগী রয়েছেন তাদের দিকে বেশি করে মনোনিবেশ করতে।
কড়া ব্যবস্থা গ্রহন ব্রিটেনের
সোমবার ব্রিটেন সরকার দেশবাসীর জন্য তাই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল। এই দেশের প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে সামাজিক জীবন বন্ধ করে দিয়েছেন এবং ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের যাঁদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে তাঁদের আলাদা করে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গাণিতিগ জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক নেইল ফের্গুসনের নেতৃত্বে হওয়া এক সমীক্ষাতে ইতালি থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে। সম্প্রতি এই দেশে কোভিড-১৯-এ প্রচুর জন আক্রান্ত হয়ে রয়েছে।
ব্যবস্থা না নিলে ব্রিটেন প্রায় জনশূণ্য হয়ে যাবে
ফার্গুসনের দল জানিয়েছেন যে ১৯১৮ সালে ফ্লু-এর প্রকোপের চেয়েও কোভিড-১৯-এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। শুধু তাই নয় যদি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে এই প্রকোপে ব্রিটেনের অর্ধ মিলিয়ান এবং আমেরিকায় ২.২ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত। সমীক্ষাতে বলা হয়েছে, সংক্রমণকে রোখার জন্য সরকার আগের পরিকল্পনা মতো সংক্রমিত সন্দেহদের বাড়িতে আলাদা থাকার নির্দেশ দিলেও গোটা সমাজকে কড়া নির্দেশের মধ্যে আনতে পারেনি। যার জন্য ৫০০,০০০ জনকে মরতে হতে পারে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থারও অবনতি হতে পারে।
চূড়ান্ত সামাজিক দুরত্ব বজায়
বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন, এই মহামারিটিকে প্রতিরোধ করতে এবং এর প্রকোপ কমানোর জন্য ক্লাব, পাব ও থিয়েটার-সিনেমাহল সহ চূড়ান্ত সামাজিক দুরত্বগুলি বজায় রাখতে হবে। এই সমীক্ষা দলের এক সদস্য আজরা ঘানি বলেন, ‘এটা সমাজ ও অর্থনীতির ওপর বিশাল চাপ সৃষ্টি করবে।' লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের বিশ্ব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ টিম কোলবর্ন বলেন, ‘কঠিন সময় আসছে। ফলাফল গুরু গম্ভীর হতে চলেছে।' এই সমীক্ষা ব্রিটিশ সরকারের বর্তমান পরিস্থিতিকে বদল করতে সহায়তা করেছে। সরকারের মতে তারা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তাদের পরিকল্পনাগুলি ত্বরান্বিত করেছে এবং নতুন পদক্ষেপগুলি সর্বদা সরকারের পরিকল্পনার অংশ ছিল।
ব্রিটেন সরকারের সমালোচনায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা
জনসনের সরকার কিছু সরকারি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সমালোচনা করেন, যাঁরা ব্রিটেন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল এবং ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্স যেন শহরকে ঘরবন্দী করে রেখেছে তেমন ব্রিটেন কেন করছে না বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যদিও ব্রিটেন সরকার জানিয়েছে যে কোভিড-১৯-কে দূরে রাখতে যা যা করণীয় তাই করেছে সরকার।
করোনায় কাজ হারানো প্রান্তিক মানুষদের আর্থিক সাহায্য দানের পক্ষে সওয়াল অর্থনীতিবিদদের