বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই জিনপিংয়ের বার্তা, 'আশার আলো দেখা গিয়েছে'
করোনার বিস্ফোরণ! যা গোটা বিশ্বকে নতুন করে আতঙ্কে ফেলে দিয়েছে। আর এই অবস্থায় নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৩-এর শুরুতেই বার্তা দিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট জিনপিং। গোটা দেশ যখন ভয়ঙ্কর করোনার সংক্রমণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেখানে তাঁর বার
চিনের মাটিতে (Corona in China) করোনার বিস্ফোরণ! যা গোটা বিশ্বকে নতুন করে আতঙ্কে ফেলে দিয়েছে। আর এই অবস্থায় নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৩-এর শুরুতেই বার্তা দিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট জিনপিং। গোটা দেশ যখন ভয়ঙ্কর করোনার সংক্রমণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেখানে তাঁর বার্তা, আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে চিনের মানুষকে নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট। তবে মিস্টার প্রেসিডেন্ট আশার আলোর কথা বললেও পরিস্থিতি দ্রুত আয়ত্তে আসবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে ক্রমশ সে দেশে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। এমনকি মানুষের মধ্যে ট্রান্সমিশন ঘটে গিয়েছে বলেও আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
মানুষকে ধৈর্য রাখারও পরামর্শ
বার্তা দিতে গিয়ে জিনপিং বলেন, মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে। সবাই সব রকম ভাবে চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। জিনপিংয়ের মতে, আশার আলো খুব শীঘ্রই দেখতে পাওয়া যাবে। চিন বিভিন্ন সময়ে কঠিন এবং একাধিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। যা মোটেই সহজ ছিল না বলেও মন্তব্য করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। ফলে মানুষকে ধৈর্য রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন কমিউনিস্ট প্রেসিডেন্ট।
চিনে করোনার 'বিস্ফোরণ'
ওমিক্রনের নয়া ভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭ -এর ভয়ঙ্কর 'বিস্ফোরণ' ঘটেছে চিনের মাটিতে। কয়েক হাজার মানুষ তাতে আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি একাধিক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীও করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। ফলে সে দেশে এখন কেউ কাউকে দেখার নেই। ইতিমধ্যে চিনের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। যা দেখে রীতিমত চমকে উঠছে বিশ্বের মানুষ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একাধিক মানুষ করোনা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মীদের। এমনকি একের পর এক মৃত্যু দেখেও আতকে উঠছেন মানুষ।
তথ্য দেওয়া বন্ধ করেছে চিন
ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে সেখানে পপ্রিস্থিতি যা তাতে দৈনিক কয়েক লাখ করে মানুষ আক্রান্ত হবেন। এমনকি মৃতের সংখ্যাও সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় করোনা সংক্রান্ত তথ্য দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে জিনপিং সরকার। নতুন করে সংক্রমণ শুরু হতেই তথ্য চাপতে শুরু করে সে দেশের সরকার। এরপরেও সংক্রমণ সংক্রান্ত একাধগিক তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। এই অবস্থায় তথ্য দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে সে দেশ। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিনের উপর পাল্কটা চাপ বাড়িয়েছে বলেই খবর।