জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সাহায্য, তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত COP২৭ শীর্ষ সম্মেলনে
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্যের চুক্তি COP27 সম্মেলনে
রবিবার সকালে COP২৭ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের একাধিক চুক্তি গ্রহণ করেছে। শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশ গুলোকে সাহায্য করার জন্য তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিশরে COP২৭ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে রাতভর আলোচনা চলে। ভোরের দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছয় দেশগুলো।
মিশরে COP২৭ আলোচনার শুরুতে প্রথমে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্যের জন্য তহবিল গঠনের আলোচনা করা হয়। এই আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল ঝড়, বন্যা, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে যেন উন্নত দেশগুলো সাহায্য করে। এরপরেই তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তহবিল গঠনের ক্ষেত্রে একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেখানে COP২৭ -এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো ঐক্যমতে আসতে পারেনি। এই সিদ্ধান্তগুলো পরের বছরের আলোচনার জন্য রেখে দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে COP২৮ জলবায়ু সম্মেলনে হবে। জানা গিয়েছে, বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সেই দিন আলোচনা হবে।
তহবিল গঠনে কোন দেশগুলোর অংশগ্রহণ করা উতিৎ সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। দুই সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলন শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তহবিলে কাদের সাহায্য করা উচিৎ এবং জলবায়ু পরিবর্তনে কোন দেশগুলো সাহায্য পাবে এই নিয়ে বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারে না প্রতিনিধিরা। যার ফলে বৈঠক শনিবার রাত পর্যন্ত গড়ায়। শনিবার সারারাত বৈঠক হয়। রবিবার ভোর রাতে এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়। কিন্তু এখনও একাধিক বিষয় বিতর্কিত রয়ে গিয়েছে। সেই বিষয়ে আগামী বছর আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
দুই সপ্তাহব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের শীর্ষ সম্মেলনে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই সম্মেলনে ইউরোপে যুদ্ধ, জ্বালানির দামে অস্থিরতা, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর প্রভাব জলবায়ুর ওপর কীভাবে পড়ছে, শীর্ষ সম্মেলনে সেই বষয়ে বৈঠক হয়। মিশরের জলবায়ু পরিবর্তনের শীর্ষ সম্মেলনে জানানো হয়, মূলত উন্নত দেশগুলোর কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। তার প্রভাব ভোগ করতে হচ্ছে দরিদ্র দেশগুলোকে। গত বছরের বৈঠকে জীবাশ্ম জ্বালানির মতো গুরুতর বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
গত বছর গ্লাসগো শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানির সীমাবদ্ধ ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, জীবাশ্ম জ্বালানির ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের জেরে ব্যাপক পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড ও মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। যা জলবায়ু পরিবর্তনের বড় কারণ।