আনলক ১.০-র শুরুতেই সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাণ হারালেন ১২ পরিযায়ী শ্রমিক
লকডাউন ৪ শেষ, এদিন থেকেই শুরু হয়েছে আনলক ১.০। আর প্রথম দিনেই ফের পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর মিলল। বিগত দুই মাস ধরেই বিভিন্ন সময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মূলত বাড়িতে ফেরার তাগিদে অসুরক্ষিত ভাবে যাত্রা করার জেরেই সেই ঘটনাগুলি ঘটে।
উত্তরপ্রদেশ থেকে নেপালে ফেরার সময় মৃত্যু ১২ শ্রমিকের
এদিন জানা যায়, উত্তরপ্রদেশ থেকে নেপালে নিজেদের বাড়ি ফেরার সময় এক পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১২ পরিযায়ী শ্রমিকের। নেপালের বাঁকে জেলায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে উল্টে গেল পরিযায়ী শ্রমিক ভরতি একটি বাস
এদিকে কেরলের এরনাকুলামথেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে আসার পথে অন্ধ্রপ্রদেশে উলটে গেল পরিযায়ী শ্রমিক ভরতি একটি বাস। ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকেই। তবে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর পুনরায় পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হয়েছে।
বাসটিতে ৩৭ জন বাংলার যাত্রী ছিলেন
বেসরকারি ওই বাসটিতে ৩৭ জন যাত্রী ছিলেন। যার মধ্যে ৫ জন শিশু ও ২ জন মহিলা। অভিযোগ উঠছে বাস ড্রাইভার নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। যার কারণেই এই দুর্ঘটনা। খবরটি জানাজানি হতেই সেখানে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায় ও তাঁদের চিকিৎসা শুরু করে। ঘটনাস্থানে পৌঁছান নারাসন্নপেটার তহশিলদার প্রভিল্লিকা প্রিয়া। তিনি আহতদের খাাবারের ব্যবস্থা করেন। এরপর তাঁদের পুনরায় পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হয়।
ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের দুর্দশা
লকাডাউন শুরুর প্রথমদিকে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের কেউ কেউ পায়ে হেঁটে অথবা সাইকেলে চড়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন নিজেদের বাড়ি ফেরার উদ্দেশে। এরপর থেকেই একের পর এক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। কখনও ঔরঙ্গাবাদের রেললাইনে শুয়ে থাকার সময় মালগাড়ি পিষে দিয়েছে তাঁদের। কখনও বা ওড়িশার বালাসোরের কাছে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন তাঁরা। আবারও সেই পরিযায়ীদের দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা।
ভারত-চিন সংঘাতে সিকিমে শহিদ ১৫৮ সেনা! ভাইরাল খবরের পিছনে আসল সত্যি কী?