করোনা আবহে ডার্ক ওয়েবে কীভাবে কেলেঙ্কারি কাণ্ড ঘটাচ্ছে সাইবার ক্রিমিনালরা?
ওন শপ বলে একটি ডার্ক ওয়েবের একটি ওয়েবসাইট। সেখানেই আজকাল দেদার বিকোচ্ছে করোনা ভাইরাস থেকে সেরে ওঠা রোগীদের রক্ত ও লালার নমুনা। বিভিন্ন গবেষকদের মত যে এই রক্ত ও লালা দিয়ে করোনা থেকে বাঁচতে পারেন কোনও সুস্থ মানুষ। যদিও বিষয়টি এখনও পুরোটাই কাগজে কলমে রয়েছে। এটার পরীক্ষা হয়নি বা বিষয়টি প্রমাণিতও নয়।
প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন
ওন শপের যিনি মালিক তিনি এই রক্ত ও লালা বিক্রির বিজ্ঞাপনের নিচে লিখেছেন, 'এই কাজ আমি নিজের পরিবারের স্বার্থে করছি।' আর এই রক্ত ও লালার দাম ধার্য্য করা হয়েছে ১০০০ ডলার। তবে এই পুরো বিজ্ঞাপনটাই ভুয়ো। আর এভাবেই ওয়েব দুনিয়া বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত হচ্ছেন করোনা আতঙ্কে ভুলে চলা মানুষজন।
বাড়বাড়ন্ত বেড়েছে সাইবার প্রতারকদের
করোনা ভাইরাসের আবহে ক্রমেই বাড়বাড়ন্ত বেড়েছে সাইবার প্রতারকদের। এরই মধ্যে ৫ লক্ষ জুম ভিডিও কলিং অ্যাপের গ্রাহকের গোপন তথ্য বিক্রি হল ডার্ক ওয়েবে। ৩ মাস আগে গড়ে যেখানে রোজ ১ কোটি গ্রাহক এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতেন, সেখানে এখন তা বেড়ে দৈনিক ২০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। আর এরই ফায়দা তুলছে ডার্ক ওয়েবের ব্যবহারকারীরা।
ইন্টারনেটের দুইটি অংশ রয়েছে
ইন্টারনেটের দুইটি অংশ রয়েছে, এটি সার্ফেস ওয়েব বা ভিজিবল ওয়েব এবং আরেকটি এই ইনভিজিবল ওয়েব। সে অংশে আপনি সাধারণ ইউআরএল বা ডট কম ডোমেইন লিখে প্রবেশ করতেও পারবেন না। আসলে ইন্টারনেটের এই অংশেই আপনার অজান্তে বিশাল পরিমাণ ডেটা থাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের। সেখানে এমন জিনিসও কেনা যায় যা আপনি কখনও সাধআরণত ভাবাও যায় না।
ডার্ক নেট কী
ইন্টারনেটের যে অংশে আমাদের সরাসরি কোন অ্যাক্সেস নেই এবং সার্চ ইঞ্জিন গুলোও সেসকল ডাটাকে ইনডেক্স করতে পারে না, একে ইনভিজিবল ওয়েব বা ডার্ক ওয়েব বলে। ট্র্যাডিশন্যাল ইউআরএল টাইপ করে আর সাধারণ ব্রাউজার থেকে ডার্ক নেট অ্যাক্সেস করা যায় না, আপনাকে এই অঞ্চল অ্যাক্সেস করতে অবশ্যই একটি স্পেশাল ওয়েব ব্রাউজার ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে
কী পাওয়া যায় ডার্ক ওয়েবে?
ডার্ক ওয়েব মূলত ডীপ ওয়েবের একটি ছোট অংশ যেখানে নানান প্রকারের অবৈধ কাজকর্ম চালানো হয়। অবৈধ ড্রাগ কেনাবেচা, অবৈধ হাতিয়ার কেনাবেচা, কাউকে খুন করার জন্য হিটম্যান ভাড়া করা, এমনকি নির্দিষ্ট কাজের জন্য এখানে সাইবার ক্রিমিন্যাল বা ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার ভাড়াতে কাজ করে।
ডার্ক ওয়েবে করোনা প্রভাব
এদিকে এহেন ডার্কওয়েবেই এখন করোনা বা কোভিড নাম ব্যবহার করে ডোমেইন তৈরি করা হচ্ছে। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যেই এই জাতীয় ডোমেইনের সংখ্যা ৩৮০০০ গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে সিংহভাগই ব্যবহার করছে সাইবার ক্রিমিনালরা। এরাই পারে আপনার ল্যাপটপ থেকে আপনার সব তথ্য হাতিয়ে নিয়ে আপনার থেকে পণ চাইতে পারে।