করোনা ভাইরাস থাবা বসাবে মানবাধিকারেও, সতর্ক করল রাষ্ট্রপুঞ্জ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সুযোগ নিয়ে মানবাধিকার হরণের চেষ্টা চালাবে একাধিক দেশ। এই নিয়ে সতর্ক করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুয়াত্রেস।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সুযোগ নিয়ে মানবাধিকার হরণের চেষ্টা চালাবে একাধিক দেশ। এই নিয়ে সতর্ক করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুয়াত্রেস। তিনি বলেছেন একদিকে প্রবল আর্থিক ক্ষতি অন্যদিকে কয়েকটি বিশেষ সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ বাড়বে। লকডাউনকে হাতিয়ার করে অনেক দেশের শাসকই নিপীড়ন চালাবেন বলে সতর্ক করেছেন মহাসচিব।
মানবাধিকার বিপন্ন হবে
করোনা সংকটের আবহেও আরও একটি সংকট তৈরি হবে গোটা বিশ্বে। মানবাধিকার বিপন্ন হবে একাধিক রাষ্ট্র। করোনা সংকটের কারণে অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বেন। বাড়বে ক্ষুধার জ্বালা। রাষ্ট্রনেতারা আগ্রাসী হয়ে উঠবেন একাধিক দেশে। ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। পেশীশক্তির প্রয়োগ শুরু করে দিয়েছেন একাধিক রাষ্ট্রনেতারা।
শরণার্থীরা সংকটে
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব দেশই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। যার জেরে তীব্র শরণার্থী সংকট তৈরি হবে। সন্ত্রাস থেকে বাঁচতে যাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে সীমান্ত পারাপার করছিলেন এই আর সেটা করতে পারছেন না। চরম নরক যন্ত্রণার মধ্যে বাস করতে হচ্ছে তাঁদের। প্রায় ১৩১িট দেশ সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
করোনা আবহে বাড়বে সংকট
করোনা আবগে তীব্র খাদ্য সংকট তৈরি হবে গোটা দেশে। একাধিক মানুষ কাজ হারাবেন। তার সঙ্গে লকডাউনের কারণে চাষাবাদেও ক্ষতি হচ্ছে। আন্তর্জাতির বাণিজ্যেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগেই গবেষকরা খাদ্যের অভাব নিয়ে সতর্ক করেছিল গোটা দেশকে।