করোনা বহুদিন থাকবে এই বিশ্বে! আশঙ্কাবাণী শোনালেন WHO প্রধান
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১১ হাজার ১৪৪ জন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার জেনেভা থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাঢানোম ঘেব্রেয়েসাস।
বিশ্বের জন্য করোনা নিয়ে আশঙ্কাবাণী
সেখানেই বিশ্বের জন্য করোনা নিয়ে আশঙ্কাবাণী শোনান তিনি। এদিন তিনি বলেন, 'করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় পৃথিবীর বহু দেশ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। মহামারীর অবসান ঘটিয়ে প্রাণ সুরক্ষার দিকেই মূলত আলোকপাত করা হচ্ছে। কয়েকটি দেশ করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা গেছে ভাবলেও সেখানে নতুন করে ভাইরাসটির বিস্তার ঘটেছে। আফ্রিকা ও আমেরিকা অঞ্চলের কয়েকটি দেশে ভাইরাসটির সমস্যা বাড়ছে।'
লকডাউন তোলার বিষয়ে সতর্কবার্তা
পাশাপাশি এদিন লকডাউন তোলার বিষয়েও তিনি সরতর্ক বার্তা জারি করেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, লকডাউন প্রত্যাহার করে নিলে সংক্রমণ আবারো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই ক্ষেত্রে আবার ভয়াবহ রূপ নিতে পারে সংক্রমণ।
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে
এরপর ঘেব্রেয়েসাস বলেন, 'সংখ্যা কম হলেও আমরা আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও পূর্ব ইউরোপে ভীতিকর ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। এছাড়া মহামারীতে শুরুর দিকে আক্রান্ত হওয়া অনেক দেশেই এখন আবার নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। কোনও ভুল করা চলবে না, আমাদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। এই ভাইরাসটি দীর্ঘ দিন আমাদের সঙ্গে থাকবে।'
১১ মার্চ মহামারি ঘোষণা করা হয়
গত বছরের ডিসেম্বরে চিনের উহান শহরে প্রথম ভাইরাসটির সংক্রমণ দেখা দেয়। এরপর চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ভালো সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এবং ১১ মার্চ মহামারি ঘোষণা করা হয়। এই বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার হু-কে আক্রমণ করে এলেও ঘেব্রেয়েসাস বলেন, 'পেছনে ফিরে তাকালে আমার মনে হয় আমরা সঠিক সময়েই স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করি। ভাইরাস মোকাবিলায় যথেষ্ট সময় পেয়েছে বিশ্ব।'