ভারতের রফতানি করা সামুদ্রিক মাছ থেকেই ছড়াচ্ছে মারণ করোনা, চাঞ্চল্যকর দাবি চিনের
ভারতের রফতানি করা সামুদ্রিক মাছ থেকেই ছড়াচ্ছে মারণ করোনা, চাঞ্চল্যকর দাবি চিনের
চিনের উহান প্রদেশের সামুদ্রিক বাজার থেকে করোনা ছড়ানোর তত্ত্ব বিশ্বের কমবেশি সকল বৈজ্ঞানিকই স্বীকার করে নিয়েছেন। এমতাবস্থায় এবার সেই চিনেরই নতুন দাবিতেই সরগরম বিশ্ব-রাজনীতি। বুধবার চিনের আবগারি দপ্তরের দাবি, ভারত থেকে আমদানি করা পমফ্রেট মাছের মোড়কের সাথেই করোনা ভাইরাস ঢুকছে দক্ষিণ চিনে। সূত্রের খবর, তিনটি মাছের প্যাকিংয়ে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়ার পরই চিনা সরকারের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় হিমঘরগুলি। আমদানি হাবে কর্মরত সকল স্টাফের নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষাও শুরু হয় বলে খবর।
জার্মানি থেকে আমদানির ক্ষেত্রেও একই ঘটনার সাক্ষী চিন
গবেষকদের মতে, প্যাকিং বাক্সে এসএআরএস-সিওভি-২ ভাইরাসের অস্তিত্ব খুবই সাধারণ ব্যাপার, যদিও এর মাধ্যমে কতটা সংক্রমণ ছড়ায় তা গবেষণাধীন। চিন প্রশাসনের বক্তব্য, এর আগেও জার্মানি থেকে আমদানি করা শুকরের মাংস সংরক্ষণ করতে গিয়ে তিয়ানজিনে একজন কোভিড আক্রান্ত হন। ১৭ই অক্টোবরের পর থেকে চিনা রোগ নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র (সিডিসি) সকল আমদানিকৃত দ্রব্য খুঁটিয়ে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রায় ৩০ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা চিনে
চিনের প্রশাসনিক সূত্র বলছে, ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনে প্রায় ২৯.৮ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের সাথে করোনার যোগাযোগের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ প্রমাণিত না হলেও প্যাকেজ থেকে ভাইরাসের চিহ্ন পেলেই আমদানির দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে কমপক্ষে ১ সপ্তাহ বরখাস্ত করছে চিন। প্রশাসনের তরফে জানা গেছে, দু'টি ভারতীয় প্যাকেজ ও একটি রাশিয়ান প্যাকেজে কোভিডের খোঁজ মিলেছে। এরকম ক'টি প্যাকেজ বাজারে পৌঁছেছে, সে বিষয়ে তদন্ত করছে চিনের আবগারি দপ্তর।
রাশিয়া থেকে আগত মাছেও করোনার চিহ্ন ?
চিনা প্রশাসনের দাবি, রাশিয়া থেকে আগত স্যালমন মাছের একটি প্যাকেজে কোভিড ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। ফলত সাবধানতা অবলম্বন করছে সরকার। আমদানি-রপ্তানির সাথে যুক্ত কর্মীদের নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষার পর আইসোলেশনে ও পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে কলকাতা থেকে চিনে রপ্তানি করা একটি মাছের প্যাকেজে কোভিড ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। চৈনিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভারত থেকে আসা প্যাকেজ খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে কোভিডের খোঁজ মেলার ঘটনা এই প্রথম নয়। স্বভাবতই চিন যে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও এবার ভারতকে নিশানা করছে, সে কথা বুঝতে পারছেন রাজনীতিকরা।
কী বলছে চিনের জাতীয় সংবাদমাধ্যম
চিনের জাতীয় সংবাদপত্র 'গ্লোবাল টাইমস'-এ জানানো হয়েছে, রবিবার শিশুই ও জিয়ান-এ দু'টি করোনা সম্বলিত প্যাকেজ পাওয়া গেছে, ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের অস্তিত্বযুক্ত মোট ১০টি প্যাকেজ ধরা পড়েছে। চিনা সূত্র জানাচ্ছে, গত জুন থেকেই বেজিং, লিয়াওনিং, আনহুই, ফুজিয়ান ও জিয়াংক্সী-তে কোভিডযুক্ত প্যাকেজ ধরা পড়েছে। এদিকে সমস্যার সমাধানে চিন প্রশাসন ৯ই নভেম্বর হিমঘরগুলির জন্য একগুচ্ছ বিধিনিষেধ প্রকাশ করেছে।
বহিরাগতরা রাজ্যে শান্তি নষ্টে চেষ্টা চালাছে, বিজেপির পঞ্চপাণ্ডবকে নিশানা সুখেন্দুশেখরের