এক দশক অব্যাহত থাকবে মারণ করোনার দাপট! বিশেষজ্ঞদের দাবি ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ
সম্প্রতি একবছরে পা রেখেছে কোভিড মহামারী। এই দীর্ঘ সময়ে অর্থনীতি থেকে স্বাস্থ্যব্যবস্থা, শিক্ষা থেকে কৃষি, প্রত্যেক ক্ষেত্রেরই প্রায় দুর্বিষহ অবস্থা করে ছেড়েছে এই মারণ ভাইরাস। পাশাপাশি গনোরিয়ার মত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি হোক বা ব্রিটেনের বি.১.১.৭ স্ট্রেন, সব মিলিয়ে বহুরূপী করোনার দাপটে যারপরনাই তটস্থ বিশ্বের চিকিৎসকমহল। সম্প্রতি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার বার্তায় পুনরায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। মানবসমাজকে আগামী ১০ বছর সঙ্গ দেবে কোভিড, এমন তথ্য জানার পর থেকে রীতিমত আতঙ্কিত বিশ্ববাসী!

কোভিডের রমরমা আরও ১০ বছর
সম্প্রতি জনসাধারণকে কোভিডের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে বিশ্বের সর্বপ্রথম ছাড়পত্র প্রাপ্ত ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা, ফাইজার-বায়োএনটেক। আর তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ। এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার গবেষকদের সাফ দাবি, আগামী ১০ বছর কোভিডের সঙ্গেই পায়ে পা মিলিয়ে চলতে হবে গোটা মানবজাতিকে। ফাইজার ও বায়োএনটেকের তরফে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান গবেষক উগার। যদিও ভ্যাকসিনের সমবন্টনের বিষয়ে সেভাবে কিছুই জানাননি উগার।

'নিউ নর্মাল'-এর সংজ্ঞা বারেবারে বদলাচ্ছে কোভিড
উগার সাহিনের মতে, কোভিডের রূপ বদলানোর ধুম দেখে রীতিমত অবাক বিজ্ঞানীরা। আর এর জেরেই ভ্যাকসিন প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সময় লাগছে ঢের বেশি। তাঁর মতে, কোভিড ভাইরাসের কারণে 'নিউ নর্মাল'-এর সংজ্ঞা বদলাচ্ছে অহরহ। এদিকে করোনাতে লাগাম পরাতে গেলে এখনই বিশ্বের ৬০-৭০% মানুষের টিকাকরণ দরকার, এমনটাই মত চিকিৎসকমহলের।

করোনাকালেই নয়া দৃষ্টান্ত ফাইজার-বায়োএনটেকের
সফল ভ্যাকসিন প্রস্তুতির দৌড়ে জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক-এর সঙ্গে জোট বাঁধে ব্রিটিশ সংস্থা ফাইজার। পরবর্তীতে প্রথম জরুরিভিত্তিতে প্রতিষেধক প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ছাড়পত্র প্রাপ্ত সংস্থা হিসেবে গোটা বিশ্বজুড়েই নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ফাইজার-বায়োএনটেক। ব্রিটেনে সফলভাবে টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এই ব্রিটিশ-জার্মান জোট। যদিও দু-ডোজের প্রতিষেধকের লাভ কতদূর, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য এখনও অমিল।

নয়া করোনা উদ্বেগের মাঝেই কী বলছে ব্রিটেন ?
এদিকে টিকাকরণ পর্বের শুরু থেকেই অ্যালার্জি সহ মানুষের মধ্যে একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায় বলে জানা যায়। যদিও পরে তা নিয়ে অনেকটাই ধোঁয়াশা কাটে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিকের মতে, ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অ্যালার্জি ডেকে আনতে কতদূর সক্ষম, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। আর স্বাভাবিকভাবেই বরিস প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতেই যে জরুরিভিত্তিতে ছাড়পত্র পেয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেক, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদরা। যদিও আগামী ১০ বছর কোভিড থাকলে সেক্ষেত্রে লড়াইয়ের ব্লু-প্রিন্ট কেমন হবে, তা নির্ধারণে কালঘাম ছুটছে হু-এর বিশেষজ্ঞদলের।
শুভেন্দু ফাটল চওড়া করে দিচ্ছেন তৃণমূলে! নন্দীগ্রামে অরাজনৈতিক সভার আগে আরও এক 'ঘনিষ্ঠ' তৃণমূলত্যাগী