করোনা বাড়ছে চিনে, সংক্রমণের হটস্পট ১৪টি শহর
করোনা বাড়ছে চিনে, সংক্রমণের হটস্পট ১৪টি শহর
নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে শুরু করেছে চিনে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে। এমনকী রাজধানী বেজিংয়েও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ। এছাড়াও আরও ১৪টি শহরে বাড়ছে সংক্রমণ। নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে চিনের এই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি।
বেজিংয়ের বাড়ছে করোনা
চিন থেকেই ছড়িয়েছিল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। তার গ্রাসে এখন গোটা বিশ্ব। করোনা মহামারীর ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি গোটা বিশ্ব। একের পর এক ওয়েভ আছড় পড়ছে। ইতিমধ্যেই চিনের রাজধানী বেিজংয়ে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গ্লোবাল টাইমস সূত্রে খবর, নানজিং বিমান বন্দরে প্রথম ৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সেখান থেকে আরও ৫ প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা।বেজিং মিউনিসিপালিটি এলাকাতেও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে ভয়ানক ভাবে। নানজিং বিমানবন্দরের একাধিক কর্মীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
আরও ১৪ শহরে সংক্রমণ
রাজধানী বেজিং ছাড়াও দেশের আরও ১৪টি শহরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বেজিংয়ে ১৭৫ জনের বেশি করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নানজিং শহরে একাধিক জায়গা থেকে বিমান আসে।কাজেই সেখানে করোনা সংক্রমণ বাড়লে সেটা আরওছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সরকারি নির্দেশে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষা। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকেই করোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে বলে জানানো হয়েছে। চিনে এখনও পর্যন্ত ৪০ শতাংশেরই করোনা টিকাকরণ হয়েছে।অর্থাৎ সিংহভাগের করোনা টিকাকরণ বাকি রয়েছে।
উহান থেকে ছড়িেয়ছিল করোনা
চিনের উহান থেকেই প্রথম করোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছিল। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরে সেটা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। যার কোপে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে গোটা পৃথিবীতে। বিশ্ব যেন থমকে গিয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাণিজ্যের বিপুল ক্ষতি হয়েছে।গরিব দেশগুলি আরও গরিব গয়ে গিয়েছে। প্রচুর মানুষ কাজ হারিয়েছেন এই করোনার কারণে। করোনার থেকে একাধিক রোেগর সংক্রমণও দেখা দিয়েছে।
কোথা থেকে এল করোনা
চিনের উহান থেকে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে। কিন্তু ঠিক কোথা এল এই ভাইরাস তাও কিন্তু এখন অজানা। কেউ দাবি করেছেন পিপিলিকা ভুকের মাংস খেয়েই এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়িেয় পড়ে। আবার কেউ দাবি করেছেন উহানের গবেষণাগার থেকে ছড়িেয়ছে এই ভাইরাস। আমেরিকার দাবি চিন জীবাণু যুদ্ধ করতেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে