উহান ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে পালিয়ে যাওয়া হয়, রিপোর্টের অপেক্ষায় ট্রাম্প
নতুন বছরের শুরুটাই হয়েছে নতুন এক ভাইরাসের আবির্ভাব নিয়ে, তা হল নোভেল করোনা ভাইরাস। বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাস ইতিমধ্যেই ১৫০,০০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে আর আক্রান্ত হয়েছে বহুজন। করোনার প্রভাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে। যার ফলে এই দেশের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে করোনা ভাইরাসকে যে চিনের উহান ল্যাব থেকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া হয়েছে তার রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি।
ভাইরাসটি গায়েব হয়ে যায় ল্যাব থেকে
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে উহান থেকে যে করোনা ভাইরাস রোগটিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া হল তা নিয়ে কি কোনও তদন্ত করা হচ্ছে? এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখছি, অনেকেই এই ব্যাপারটি দেখছেন। এটি বোধগম্য মনে হয়।' তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা একটি নির্দিষ্ট বাদুড়ের বিষয়ে কথা বলছেন, কিন্তু সেই বাদুড়টি ওই এলাকার নয়।' দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি আরও জানান যে ওই ওয়েট জোনে ওই বাদুড়টি বিক্রি হয়নি, ৪০ মাইল দূরে ছিল বাদুড়টি।
তদন্তে মার্কিন গোয়েন্দারা
শুক্রবার এই সাংবাদিক সম্মেলনের আগে ফক্স নিউজ রিপোর্ট করেছিল যে উহানের ল্যাব থেকে মারণ রোগ করোনা ভাইরাসকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তা কোথায় গেল তা নিয়ে পূর্ণ তদন্ত করছে আমেরিকা। একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে উহানের ওই ল্যাব ও এই মারণ রোগের প্রকোপ সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রাথমিক তথ্য সমগ্রহ করতে শুরু করেছে। গোয়েন্দারা সেই সময়কার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখার চেষ্টা করছেন যে সরকার কি আদৌও এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল এবং সঠিক চিত্রটি তৈরি করার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক অবাক করার মতো ঘটনা ঘটেছে, এখনও অনেক তদন্ত করা বাকি রয়েছে এবং আমরা সত্যটা খুঁজে বের করব।' তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুধু এটুকু বলতে চাই যেখান থেকেই এই রোগটা আসুক না কেন, চিন বা অন্য কোনও দেশ, তার জন্য ১৮৪টি দেশকে ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে।' আমেরিকা উহানের চতুর্থ স্তরের ল্যাবগুলিকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করবে বলেও জানান ট্রাম্প।
বারাক ওবামার আমলে শুরু হয় অনুদান দেওয়া
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বারাক ওবামার শাসনকালে এইসব ল্যাবগুলিকে ৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার করে অনুদান দেওয়া হত। আমরা খুব দ্রুত সেই অনুদান দেওয়া বন্ধ করতে চলেছি।' প্রসঙ্গত বেশ কিছু সাংসদ হোয়াইট হাউস ও সেনেট নেতৃত্বকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন যে ভবিষ্যতে কোনও করোনা ভাইরাস ত্রাণ তহবিল উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে যেন বরাদ্দ না করা হয়। সাংসদ জেমস স্মিথই এই করোনা ভাইরাস রোগটি লুকিয়ে যাওয়ার জন্য চিনকে দায়ী করেন।