মেধাভিত্তিক নতুন অভিবাসন নীতির পথে আমেরিকা, সিলমোহরের কথা জানালেন স্বয়ং ট্রাম্প
মেধাভিত্তিক নতুন অভিবাসন নীতির পথে আমেরিকা, সিলমোহরের কথা জানালেন স্বয়ং ট্রাম্প
করোনা মহামারীর মাঝেই একাধিক ভিসা বাতিলের পথে হেঁটেছে আমেরিকা। যার জেরে বিপাকে পড়ছেন লক্ষ লক্ষ প্রবাসী তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী, পড়ুয়ারা। এই সঙ্কটকালীন অবস্থায় আমেরিকা এবার মেধাভিত্তিক অভিবাসন নিয়ে আসতে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে। এদিকে কয়েকদিন আগেই এই বিষয়ে ইঙ্গিতও দিতে দেখা যায় তাকে। এর আগেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে তিনি মেধা–ভিত্তিক অভিবাসন ব্যবস্থাপনার জন্য এক্সিকিউটিভ অর্ডার নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন।
এর আগেই একাধিক ভিসা বাতিলের পথে হেঁটেছে ট্রাম্প সরকার
এদিকে কদিন আগেই বিদেশি ছাত্রদের অনলাইনে ক্লাস দেওয়ার ব্যাপারেও কঠোর সিদ্ধান্তের কথা জানাতে দেখা যায় ট্রাম্প প্রশাসনকে। এফ-১ এবং এম-১ ভিসার আওতায় থাকা অনলাইন ক্লাস করা পড়ুয়াদের ভিসা বাতিলের কথা জানায় ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে প্রবল বিরোধীতা দেখা যায় সমাজের বিভিন্ন মহলে। পাল্টা মামলা দায়ের করে হার্ভার্ড ও এমআইটি-র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি। যদিও পরবর্তীতে চাপের মুখে পড়ে আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে কথা জানায় সরকার। এমতাবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শীঘ্রই মেধাভিত্তিক এই নতুন অভিবাসন আইনে স্বাক্ষর করবেন বলে জানা যাচ্ছে।
নতুন পরিকল্পনায় কাদের সুযোগ বেশি হতে চলেছে ?
১৪ই জুলাই হোয়াইট হাউসের একটি সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও নতুন এই অভিবাসন আইনে কারা কারা আসতে পারবেন বা কখন এই আইনটি চালু হবে, সে বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্দিষ্ট কোনো ধারণা দেননি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা নতুন অভিবাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী কম বয়সী এবং অধিক শিক্ষিতের আবেদন অনুমোদনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।
দু-বছর আগেই এই বিল আনতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প
এর আগে একটি সাক্ষাত্কারে ট্রাম্পের বলেন, "এই নতুন ব্যবস্থা ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস্ বা ডিএসিএ প্রাপকদের আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ মসৃণ করবে। এই বিল খুব বড় হবে, খুব ভালো হবে। এতে মেধি-ভিত্তিক এবং ডিএসিএ থাকবে। এবং আমার মনে হয় মানুষ খুব খুশি হবে।" একইসাথে ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, তিনি এই বিল দুবছর আগেই আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের বাধায় তা সম্ভব হয়নি।
হোয়াইট হাউসে কি বললেন ট্রাম্প
এই প্রসঙ্গে ১৪ই জুলাই হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা শীঘ্রই নতুন অভিবাসন আইনে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি। সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতেই তৈরি হবে নতুন এই অভিবাসন আইন। এই আইন খুবই শক্তিশালী হতে চলেছে।' এদিকে অভিবাসন নীতি নিয়ে এর আগেও একাধিকবার ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই প্রেক্ষাপটে মেধাভিত্তিক অভিবাসন আইন দেশের মানুষের মনে কতটা জায়গা করে নেয় তা সময়ই বলবে।
লাদাখ সংঘাতের উত্তেজনা কি প্রশমনের পথে! ভারত-চিন আলোচনা ঘিরে বড় খবর