করোনা আক্রান্ত জার্মানি কীভাবে মৃতের সংখ্যার হার কম রাখতে পেরেছে! কোন তথ্য উঠছে
করোনা আক্রান্ত জার্মানি কীভাবে মৃতের সংখ্যার হার কম রাখতে পেরেছে! কোন তথ্য উঠছে
ইওরোপ জুড়ে যেভাবে মৃত্যু মিছিল দানা বাঁধছে সেভাবে তাতে সন্ত্রস্ত সমস্ত দেশষ। ইতালি থেকে স্পেন প্রতিটি দেশেই কোরনার জেরে ক্রমাগত মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এমন এক পরিস্থিতিতে জার্মানিতে করোনার জেরে মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। কীভাবে এই মৃত্যুমিছিল খানিকটা প্রতিহত করতে পেরেছে জার্মানি? দেখে নেওয়া যাক কিছু তথ্য।
অনেকেই করোনাকে 'সহজ'ভাবে নিয়েছিল...
করোনার প্রকট হওয়ার কেন্দ্রস্থল ছিল চিন। প্রবল মৃত্যু মিছিল যখন চিনকে গ্রাস করতে শুরু করে তখন করোনা ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ার দিকে যায়। যদিও তখনও তাতে সেভাবে আমল দেয়নি ইওরোপ। আর তার ফল পেয়েছে ইতালি, স্পেনের মতো দেশ। ভুগছে ব্রিটেনও।
মৃত্যুর হারের শতাংশ চিনের চেয়েও বেশি ইতালিতে!
যে দেশ থেকে করোনা ছড়িয়েছে সেই চিনের চেয়েও মৃত্যুর হারের শতাংশ অনেকটাই বেশি ইওরোপের একাধিক দেশে। পরিসংখ্যান বলছে, চিনে মৃত্যুর হার যেখানে করোনার জেরে ৪ শতাংশ, সেখানে ইতালিতে ১০.১ শতাংশ, সেপেনে ৭.৪ শতাংশ,ফ্রান্সে ৫.৩ শতাংশ,ও ব্রিটেনে ৪.৯ শতাংশ। দেখা গিয়েছে এই সমস্ত দেশের প্রশাসন প্রথম থেকেই করোনা নিয়ে বেশ উদাসীন ছিল।
খানিকটা স্বস্তি জার্মানিতে!
শতাংশ ও পরিসংখ্যানের বিচারে করোনার গ্রাসে জার্মানিতে মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। জার্মানিতে করোনার জেরে মৃতের হারের শতাংশ ০.৬। যা ঘিরে বেশ কয়েকটি তথ্য উঠছে।
কেন ইতালির মতো পরিস্থিতি হওয়ার থেকে বেঁচে গিয়েছে জার্মানি!
ইতালিতে জনসংখ্যার বিচারে বেশির ভাগের গড় বয়, ৬৩। সেখানে জার্মানিতে গড় ৪৭ বছর। সেই দিক থেকে জার্মানিতে বয়স্কদের সংখ্যা কম। তার জেরে জার্মানিতে করোনা আক্রান্ত বয়স্কদের সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে অন্যান্য দেশের থেকে কম। ফলে, করোনায় জার্মানিতে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই কম।
সতর্ক ছিল জার্মানি
করোনার প্রকোপ ইওরোপ জুড়ে ছড়াতেই সতর্ক ছিল জার্মানি। ফ্রান্স, ইউকে, স্পেনে যে সংখ্যক কোভিড ১৯ টেস্টিং হয়েছে , টা যোগ করলে যা দাঁড়ায় ,সেই সংখ্যক কোভিড ১৯ টেস্টিং করেছে জার্মানি। মোট ১৬৭,০০০ জনকে টেস্ট করেছে ইওরোপের এই দেশ।
চিকিৎসা রীতি নিয়ে কোন পরীক্ষা করেছে জার্মানি?
জানা গিয়েছে চিকিৎসার ধাঁচ নিয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে জার্মানি। কোভিড ১৯ রুখতে দেশের একাংশেই শুধু চিকিৎসা ব্যবস্থা বা হাসপাতালগুলিকে কুক্ষিগত করেনি সেদেশ। সারা দেশে এমন হাসপাতালের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে পরিষেবা সকলেই পেয়েছেন। আর এভাবেই মৃত্যুমিছিল খানিকটা রোধ করেছে জার্মানি।