সবার উপর সমান ভয়ঙ্কর নয় করোনা, কারণ 'রক্ষাকারী জিন', দাবি সুইডেনের বিজ্ঞানীদের
সবার উপর সমান ভয়ঙ্কর নয় করোনা, কারণ 'রক্ষাকারী জিন', দাবি সুইডেনের বিজ্ঞানীদের
সারা বিশ্বেই করোনা সংক্রমণ মাত্রা ছাড়িয়েছে৷ ইতিমধ্যেই কোথাও করোনার তৃতীয় কোথাও চতুর্থ ওয়েভের সংক্রমণ চলছে৷ কিন্তু অবাকভাবেই বিশ্বের সব জায়গাতে করোনার ধ্বংসাত্মক প্রভাব সমান নয়। ইতালি, আমেরিকা, ব্রিটেনে করোনার কারণে মৃত্যু তুলনায় আফ্রিকার দেশগুলি এবং ভারতেও করোনার সংক্রমিতদের মৃত্যুর সংখ্যা কম! এর পেছনের কারণ খুঁজতে গিয়েই চমকপ্রদ জিনিস আবিষ্কারের দাবি করেছেন একদল সুইডিশ বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি বিভিন্ন মানুষের শরীরে থাকা বিভিন্ন জিনের কারণেই এই ধরণের আচরণ করছে করোনা।
ডেইলি মেইলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সুইডেনের গবেষকরা এমন একটি জিনের খোঁজ পেয়েছেন যা কোভিড সংক্রমণের তীব্রতা ২০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। গবেষণায় আরও ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে কেন করোনা বেশ কিছু মানুষের শরীরে খুব ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে না! গবেষকদের দাবি তাঁদের এই আবিষ্কার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরিতে সাহায্য করবে। গবেষকরা জানিয়েছেন, তবে জাতিভেদে এই বিশেষ জিনের উপস্থিতি পরিবর্তিত হয়। শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় বংশধরদের মধ্যে প্রতি তিনজনের একজনের মধ্যে এই জিনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে৷ আফ্রিকার মানুষদের মধ্যে প্রতি ১০জনের মধ্যে আটজনের ক্ষেত্রে এই জিন উপস্থিত রয়েছে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন এই বিশেষ জিনটি শরীরকে এমন একটি প্রোটিন তৈরি করতে বলে যা কোভিড-১৯ এর ভাইরাসটিতে থাকা প্রোটিনকে ভাঙতে সাহায্য করে। এটি প্রোটিন ওএএস-১-এর দৈর্ঘ্যও নির্ধারণ করে এবং যখন এটি দীর্ঘ হয়, তখন কোভিড-১৯ এ থাকা ভাইরাসকে নষ্ট করে। প্রসঙ্গত করোনার এই নতুন ওয়েভের কারণে হংকং-এ জিম বন্ধের পাশাপাশি রেস্তোরাঁতে বসে খাওয়ার ক্ষেত্রেও কঠোর নিষেধাজ্ঞাগুলি পুনরায় জারি করেছে সেখানকার প্রশাসন৷
নিউজিল্যান্ড, যেখানে ৯৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেখানেও ওমিক্রন সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধ পুনরায় চালু করার ভাবনা চলছে! এবং অন্য দেশের সঙ্গে সীমান্ত খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সময় নিচ্ছে৷ পাশাপাশি বুস্টার ডোজ এবং শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করেছে। অন্যদিকে জাপানের সরকার এক সপ্তাহের মধ্যে টোকিও এবং আশেপাশের জায়গাগুলিতে করোনাকালীন আধা-জরুরি অবস্থা চালু রাখার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে।