লকডাউন বা নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দ্বিতীয় স্তরে করোনা সংক্রমণ! প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ
লকডাউন বা নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দ্বিতীয় স্তরে করোনা সংক্রমণ! প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ
করোনা ভাইরাস মহামারীটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন দেশ এই কোভিড ১৯-এর বিস্তার রোধ করতে সম্পূর্ণ এবং আংশিক লকডাউন শুরু করেছে। সম্প্রতি জাপান সরকার এই লকডাউনের মধ্যে অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে নয়া প্যাকেজ চালু করেছে। তবে এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠে পড়েছে কতদিন লকডাউন প্রয়োগ করা দরকার?
লকডাউন তুললে কড়া বিধি প্রয়োগ
ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, যে দেশগুলি লকডাউনটি শেষ করতে চায় তাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে এবং নজরদারি চালাতে হবে, যেন নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালিয়ে যেতে হবে।
করোনার দ্বিতীয় স্তর! আশঙ্কা
চিনের কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে করোনভাইরাসটির প্রথম তরঙ্গকে শেষ করে দিয়েছে। তবে তাদেরও করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের সম্ভাবনা রয়েছে। এবং সেটাই চূড়ান্ত বাস্তব। হংকং ভিত্তিক গবেষকরা জানুয়ারীর মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির শেষের মধ্যে চারটি চিনা শহর বেজিং, সাংহাই, শেনজেন এবং ভেনজুর করোনা সংক্রমণের গতিবিধি বিশ্লেষণ করে এ কথা জানিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে
গবেষকরা দেখিয়ে দেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধের পদক্ষেপগুলি অস্থায়ীভাবে তোলা হলে কীভাবে প্রথম সংক্রমণের পরিস্থিতি থেকে তা নতুন সংক্রমণের স্তরে পৌঁছতে পারে। অধ্যাপক জোসেফ টি উ বলেন যে এই ব্যবস্থাগুলি করোনা সংক্রমণকে হ্রাস করেছিল। এরপর ব্যবসা, কারখানা এবং স্কুলগুলি ধীরে ধীরে পুনরায় শুরু হওয়ার পর তা সামাজিক মিশ্রণের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলবে। ফলে নতুন করে সংক্রমণ প্রবণতা বাড়বে।
ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি
এই গবেষণা আরও জানায়, সংক্রমণের হার আবার বাড়তে অর্থনৈতিক ক্ষতিও বাড়বে। তাই এই সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস করার জন্য কড়া ব্যবস্থা প্রত্যাহার করার আগে ভালো করে ভাবা দরকার। সংক্রমণের বৃদ্ধি রোধ করতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেওয়া এবং পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।
করোনা সংক্রমণের জেরে ১.৬ কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছে আমেরিকায়!