চিনে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, তাহলে কি 'স্টিলথ ওমিক্রন' দায়ি?
চিনে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, তাহলে কি 'স্টিলথ ওমিক্রন' দায়ি?
আবারও সেই চিন! প্রথম চিনের উহান প্রদেশ থেকে করোনার উৎপত্তি। যদিও ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে করোনা গ্রাফ। তবুও স্বস্তি কমছে না চিনাবাসিন্দাদের। চিনে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা গ্রাফ। যার জেরে অনেক শহরে করা হয়েছে লকডাউন। বন্ধ শপিং মল থেকে স্কুল। প্রায় প্রত্যেক দিনই কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে শুরু করেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা। ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে গতকালের থেকে আজকের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ন্যাশনাল চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ৩ হাজার ৫০৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের তুলনায় ১ হাজার ৩৩৭ জন বৃদ্ধি পেয়েছে।
‘স্টিলথ ওমিক্রনই কী দায়ী!
'স্টিলথ ওমিক্রনেই করোনার গ্রাফই ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার একমাত্র কারণ। এই ভাইরাসটি ২০২০ সালে প্রথম উৎপত্তি। আর এই এই প্রজাতির প্রাদুর্ভাবের কারণেই ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা গ্রাফ। উত্তর-পূর্ব চিনের জিলিন প্রদেশ সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাওয়া গেছে। যেখানে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬০১ জন।
ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ
চিনের সাংহাই, শেনজেন প্রদেশেও কিন্তু ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া মারণ ভাইরাস করোনায় কয়েক হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। কত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল তাঁর ইয়ত্তা নেই। আর চিনের উহান থেকেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল কোভিড। বর্তমানে রিপোর্ট পাওয়া অনুযায়ী জানা গিয়েছে, করোনা গ্রাফ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিনের বিভিন্ন প্রদেশে লকডাউন জারি করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরবন্দি। তাহলে প্রশ্ন একটাই মুক্তি মিলবে না করোনা থেকে?
কী কী বিধি নিষেধ আরোপ
চিন প্রশাসন সেখানের বাসিন্দাদের, মানে যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের উত্তর-পূর্ব প্রদেশ ছেড়ে যেতে নিষেধ করছে। করোনাভাইরাস ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণেই তাঁদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। এক জায়গায় জমায়েত করা নিষেধ করেছে। সেই সঙ্গে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া চলছে। কোভিড, ওমিক্রনের পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সর্তকতা ও সাবধানতার সঙ্গে রাখা হচ্ছে। চিনের বাসিন্দাদের স্কুল-কলেজ, শপিংমল রেস্তোরাঁ একাধিক জায়গা বন্ধ করা হয়েছে। যারা এখনও করোনার ভ্যাকসিন নেয়নি বা পাননি তাঁদের এখনি টিকা নেওয়ার কথা জানাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দু'দিন ধরে করোনা কেস ক্রমশই শীর্ষে উঠছে। প্রায় ১ হাজার করে মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের কেস ৩১০০ শোর বেশি।ক্রমশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে চিনের শেনজেন শহরে। এই শহরে প্রায় ১৭ মিলিয়নের বেশি মানুষ বসবাস করেন। আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে এই শহরটিতে কিন্তু লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ, সোমবার থেকে শহরের বাস ও মেট্রো পরিষেবা রাখা হবে। ভিড় এড়াতে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।