ক্রমাগত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন, ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বিশ্বে, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জের
ক্রমাগত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন, ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বিশ্বে, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জের
গত বছর রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছিল গ্রিনহাউস গ্যাস এবং কোনও প্রতিকার না করা হয়ে বিশ্বের তাপমাত্রা দ্বিগুণ বেড়ে যেতে পারে বলে মঙ্গলবার তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। গত সপ্তাহে মাদ্রিদে আয়োজিত জলবায়ু সংক্রান্ত আলোচনায় বিভিন্ন গবেষণার মধ্যে 'এমিশন গ্যাস রিপোর্ট’–ও ছিল। জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্ব নেতাজের উদ্বুদ্ধ করতেই এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।
প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী
২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী প্রাক–শিল্পাঞ্চল অঞ্চলে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। প্রাক–শিল্পাঞ্চলগুলিতে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকার কথা। রাষ্ট্রপুঞ্জের আবহাওয়া পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেল সতর্ক করে জানিয়েছে যে গত বছর বড়সড় আবহাওয়া পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে, তাই এখনই যদি কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে তার প্রভাব গিয়ে পড়বে প্রবাল প্রাচীর ও আর্টিক সমুদ্রের বরফের ওপর। রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, 'পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে এই দশকে তাপমাত্রা ৩.২ সেন্টিগ্রেড বাড়তে পারে, যার জেরে ধ্বংসাত্মক জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্যারিসে রয়েছে নিরাপদ তাপমাত্রা
গোটা বিশ্বের মধ্যে একমাত্র প্যারিসেই নিরাপদ তাপমাত্রা রয়েছে। যা ১.৫ সেন্টিগ্রেড। কিন্তু ২০২০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭.৬ শতাংশ গ্যাস নির্গমন কমিয়ে ফেলতে হবে, এর অর্থ বছরে ২.৭ শতাংশ গ্যাস নির্গমন কমাতে হবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, 'এটা খুব চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আপনি যত বেশি অপেক্ষা করবেন, এটা তত বেশি কঠিন হয়ে উঠবে।’ রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বনভূমি কেটে ফেলার জন্য ২০১৮ সালে ৫৫.৩ গিগাটোনস কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়েছে। যা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ২০২০ সালের মধ্যে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে গ্যাস নির্গমন কমানো যায়, এই উদ্দেশ্যকেই কার্যকরী করা প্রয়াস করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।