আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের যুদ্ধের আবহে গভীর হচ্ছে রাশিয়া-তুরস্ক সংঘাতের সম্ভাবনা
নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। সেই বিবাদের জেরেই ২৭ সেপ্টেম্বর আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যায়। এরপর দুই দেশকেই রাষ্ট্রসংঘ আর্জি জানিয়েছিল শান্তি আলোচনায় বসার জন্য। তবে দুই দেশই শান্তি আলোচনা প্রত্যাখান করেছে।

এদিকে এই যুদ্ধের জেরে তুরস্ক ও রাশিয়াও সংঘাতে লিপ্ত হতে পারে, এমনই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে ক্রমে। মঙ্গলবার আর্মেনিয়া অভিযোগ করে তুর্কি বিমান হামলায় তাদের একটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। এরপর আজারবাইজানও দাবি করে যে তারা আর্মেনিয়ার দুই হাজার তিনশ সেনাকে নিষ্ক্রিয় করেছে। এছাড়া প্রতিপক্ষের বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংসেরও দাবি করেছে দেশটি।
এদিকে একদিকে যখন এই সংঘাতে আজারবাইজানকে সমর্থন করছে তুরস্ক। এপরদিকে আর্মেনিয়াকে সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া। উল্লেখ্য, নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের অভ্যন্তরে অবস্থিত। তবে আর্মেনিয়ার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
১৯৯১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলে এই এলাকা ঘিরে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। এরপর ১৯৯৪ সালে এই এলাকাকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তবে তার আগেই এই সংঘর্ষের জেরে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। পরে ২০১৬ এবং এই বছরের শুরুতেও সংঘাতে জড়ায় দুই পক্ষ।
এদিকে এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। যদিও যুদ্ধ নিয়ে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেন, আলোচনার কোনও সম্ভাবনা নেই। একই সুরে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পশিনিয়ান বলেন, লড়াইয়ের সময় কোনও আলোচনা হতে পারে না।