যদি এটা হয় তবে ফের করোনা সংক্রমণের ধাক্কা সামলাতে হবে বিশ্বকে!
তাড়াহুড়ো করে লকডাউন তোলা নিয়ে করোনা আক্রান্ত দেশগুলিকে আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে তা সত্ত্বেও অর্থনীতি সচল রাখতে ও স্বাভাবিক জনজীবন ফিরে পেতে রাস্তায় নেমেছে ইতালি ও বেশ কয়েকটি ইউয়োরপীয় দেশের মানুষ। বছরভর এভাবে ঘরবন্দি থাকা সম্ভব নয়, এই যুক্তিতেই রাস্তায় নামেন এরা।
আইএমডি-র চালে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কুটনৈতিক বাজিমাত ভারতের! মুখ ভাড় ইমরান প্রশাসনের
করোনায় মৃত্যুমিছিল
আর এরপরই ইতালিতে ভয়াবহ অবস্থা। একদিকে করোনায় মৃত্যুমিছিল, অন্যদিকে অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতি। উপায়ন্তর না পেয়ে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইতালি। আর লকডাউন শিথিলের দ্বিতীয় দিনে ইতালিতে করোনায় মৃত্যু হল ২৩৬ জনের। এই নিয়ে ইতালিতে মোট ২৯ হাজার ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইতালিতে কাজে বের হন প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ
লকডাউন শিথিল হতেই ইতালিতে কাজে বের হন প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ। প্রায় দুমাস পর কাজের মধ্যে ফিরেছে ইতালি। পরিসংখ্যান বলছে ইতালিতে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। লকডাউন শিথিলের দ্বিতীয় দিনে নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ৭৫ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২ হাজার ৩৫২ জন।
বন্দিদশা কাটিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা
অনেক দেশই এবার বন্দিদশা কাটিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। ভারতও সেই দেশগুলির মধ্যেই একটি। যে সমস্ত দেশ এবার লকডাউন শেষ করে বেরিয়ে আসতে চাইছে তাদের সতর্ক করলেন ডঃ ইয়্যান লিপকিন। তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফেকশন ইমিউনিটি দফতরের অধ্যাপক।
লকডাউন মানতে হবে
প্রফেসরের স্পষ্ট বক্তব্য, 'আমরা যদি লকডাউন মেনে না চলতে পারি তবে আমাদের পরিণতি খুবই খারাপ হবে। আমাদের উপর ধেয়ে আসবে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় প্রবাহ।' বর্তমানে বিশ্বে ৩৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা সংক্রমণে জর্জরিত। এদের মধ্যে মারা গিয়েছেন ২ লক্ষ ৬৫ হাজার। ডঃ লিপকিনের দাবি যদি লকডাউন তুলে নেওয়া হয় তবে লাগামহীন পর্যায়ে চলে যাবে এই সংখ্যা।