লকডাউনেও ছুটি নেই! ফ্রান্সে ওভারটাইম করতে হচ্ছে কফিন তৈরির কারিগরদের
সারা বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। প্রায় সব শিল্পে মন্দা হলেও, কফিন শিল্প জেগে উঠেছে। যা কিনা মানুষের পক্ষে খারাপ খবর। চিত্রটা শুধু ভারতের হয় সারা বিশ্বের।
সারা বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। প্রায় সব শিল্পে মন্দা হলেও, কফিন শিল্প জেগে উঠেছে। যা কিনা মানুষের পক্ষে খারাপ খবর। চিত্রটা শুধু ভারতের হয় সারা বিশ্বের। যেসব দেশ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তদের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সও। এদেশেই রয়েছে ইউরোপের সব থেকে বড় কফিন তৈরির সংস্থা।
ওভারটাইম কফিন তৈরির সংস্থায়
এখন যে ছবিটার কথা উল্লেখ করতে চলেছি, তা হল ফ্রান্সের। পূর্ব ফ্রান্সের ওজিএফ। ইউরোপের সব থেকে বড় কফিন তৈরির সংস্থা। সারা বিশ্বে অন্য কোনও শিল্পে ওভারটাইম দূরের কথা। কাজ নেই। কিন্তু এখানে চিত্রটা ঠিক উল্টো। কফিন তৈরি করতে গিয়ে এই সংস্থার কর্মীদের ওভারটাইম করতে হচ্ছে।
ফ্যাক্টরির ডিরেক্টর ইম্যানুয়েল গ্যারেট জানিয়েছেন, এপিডেমিকের কারণে সংস্থার তরফ থেকে কেবলমাত্র চারটি মডেলের কফিন তৈরি করা হচ্ছে। যা হতভাগ্য পরিবারগুলি পছন্দ করছেন।
প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে বেশি কাজে ৪০ টি বাড়তি কফিন তৈরি হচ্ছে
সাধারণভাবে ৩৭০ টি কফিন তৈরি করা হলেও, এখন ৪১০ টি করে কফিন তৈরি করা হচ্ছে। কর্মীরা প্রতিদিন প্রায় একঘন্টা করে বেশি কাজ করছেন। শনিবারেও কাজ হচ্ছে সেখানে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই কফিন তৈরিতে বিশেষজ্ঞ
ওজিএফ সংস্থার স্থাপনা ১৯১০ সালে হলেও, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই কফিন তৈরিতে বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠে তারা। ফ্রান্সে প্রতি চারটি কফিনের মধ্যে একটি এই সংস্থা তৈরি করছে। প্রায় ২৫ একর এলাকা জুড়ে চলছে কাজ। যার মধ্যে রয়েছে গাছের লগ কাটা, কাঠ শুকানোর কাজও। স্থানীয় বন থেকে মূলত ওক গাছ কেটে নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে কফিন।