বড়দিনের উৎসব ম্লান, নতুন কোভিডের সতর্কতার জেরে লন্ডন–ইংল্যান্ডে জারি কড়া লকডাউন
নতুন ধরনের কোভিড–১৯ দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে লন্ডন এবং আশপাশের এলাকায়। যে কারণে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন শনিবার থেকে নভেম্বরের মতো জাতীয় লকডাউনের আওতায় ব্রিটেনের রাজধানীকে ফেলে দিয়েছে। এমনকী বড়দিনের সময়ও কোনও জমায়েত বা পার্টি করার অনুমতি নেই। বোরিস জনসন জানিয়েছেন যে নতুন ধরনের এই কোভড পুরনো করোনা ভাইরাসের চেয়ে কোনও অংশে কম মারাত্মক নয় এবং ভ্যাকসিন এই ভাইরাসের ওপর কাজ করবে কিনা তা নিয়ে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান যে এ সম্পর্কে আরও অনেক কিছুই জানা যায়নি।

৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর লকডাউন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হুয়ের পক্ষ থেকে নতুন এই ভাইরাস সম্পর্কে জানানো হয়েছে। জনসন নতুন এই টায়ারটিকে টায়ার-৪ ঘোষণা করে কোভিড-১৯ সতর্কতা পদ্ধতি ঘোষণা করে জানিয়েছেন যে এই নতুন টায়ার-৪-এর অন্তর্গত ইংল্যান্ডের শহর ও এলাকা রয়েছে। টায়ার-৩-তে রয়েছে লন্ডন, যেখানে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে টায়ার-৪-এর মতো এখানেও লকডাউন করা হবে। এই নিষেধাজ্ঞা রবিবার সকাল থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর।

বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন ক্রমাগত
ডাউনিং স্ট্রিটে একটি টেলিভিশন মাধ্যমে জনসন প্রসঙ্গে বিশদে বলতে গিয়ে বলেন, ‘এই ভাইরাসের এখনও অনেক কিছুই জানা নেই। যদিও এই ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তবে এটি পুরনো করোনা ভাইরাসের চেয়ে কম বা বেশি ক্ষতিকর সে ব্যাপারে কোনও প্রমাণ নেই। সেরকমই নতুন এই ধরনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন আদৌও কাজ করবে কিনা সে সম্পর্কেও কোনও প্রমাণ নেই।' তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনকে বোঝার জন্য আমাদের বিশেষজ্ঞরা ক্রমাগত কাজ চালিয়ে চলেছেন। আমরা যত এগোবো তত এই ধরনটির সম্পর্কে জানতে পারব। কিন্তু এই ধরনটির সম্পর্কে আমরা এখন যতটা জেনেছি তার ওপর ভিত্তি করে আমাদের অবশ্যই পদক্ষেপ করতে হবে।'

লকডাউনের আওতায় লন্ডন–ইংল্যান্ড
বোরিস জনসন বলেন, ‘প্রথমত, আমাদের সবচেয়ে আক্রান্ত এলাকাগুলিতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে, বিশেষ করে লন্ডনের কিছু অংশে, ইংল্যান্ডের দক্ষিণ পূর্ব এবং পূর্ব এলাকায়, যেঘুলি এখন টায়ার-৩-এর আওতায় রয়েছে। এই অঞ্চলগুলি টায়ার-৪-এ প্রবেশ করবে, যা নভেম্বরে ইংল্যান্ডে যে জাতীয় বিধিনিষেধ ছিল তার সমান হবে।'

রবিবার সকাল থেকে লকডাউন
লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ড যা টায়ার-৪-এর আওতায়, রবিবার সকাল থেকেই সেখানে একই ধরনের লকডাউন জারি করা হয়েছে। এই লকডাউনের আওতায় রয়েছে বাসিন্দারা বাড়ির ভেতর তাকবেন, দরকার ছাড়া বাড়ির বাইরে নয়, অ-খুচরা দোকান, জিম এবং বিনোদন সুবিধা বন্ধ, ওয়ার্ক ফ্রম হোম, টায়ার-৪ এলাকায় যাওয়ার অনুমতি নেই বাসিন্দাদের।
সোমবারই নতুন এই ধরন নিয়ে ব্রিটেনের সংসদে ঘোষণা করবেন স্বাস্থ্য সচিব। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার ক্রিস হুইটি ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্যকে এই ভাইরাসের ধরন সম্পর্কে আরও তথ্য দেবেন। হুইটির মতে, এটি সঙ্কটময় ও বিপদজ্জনক মুহূর্ত। জনসন জানিয়েছেন যে বড়দিনের উদযাপন এ বছর একটু অন্যরকমের হবে। তিনি এও জানিয়েছেন যে সমস্ত টায়ারের বাসিন্দাদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বড়দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু তা এখন তুলে নেওয়া হয়েছে।
টিকারকরণ ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক! মারাত্মক প্রভাব দেখা দিলে দ্বিতীয় ডোজ এড়ানোর নির্দেশ মার্কিন প্রশাসনের