শুধু পুরুষদের কথা কানে ঢুকছে না! অদ্ভূত 'কানের রোগ'-এ আক্রান্ত মহিলা
চিনের এক মহিলা এক অদ্ভূত সমস্যায় পড়েছেন। তিনি পুরুষ ব্যক্তিদের কথা শুনতে পাচ্ছেন না।
অনেকে রয়েছেন যাঁরা অভিভাবক হোক বা সঙ্গী বা বন্ধুবান্ধব- কারও কথা কানে তোলেন না। নিজের ইচ্ছে মতো যা খুশি তাই করেন। তবে চিনের এক মহিলা এক অদ্ভূত সমস্যায় পড়েছেন। তিনি পুরুষ ব্যক্তিদের কথা শুনতে পাচ্ছেন না। শত চেষ্টা করেও একবর্ণ কানে ঢুকছে না তাঁর। অথচ কী আশ্চর্য, মহিলাদের কণ্ঠস্বর রীতিমতো স্বাভাবিকভাবেই শুনতে পাচ্ছেন।
এই ধরনের অদ্ভূত রোগ দেখে বিস্মিত চিকিৎসকেরাও। মহিলা রোগীর নাম চেন। তিনি শিয়ামেন শহরের বাসিন্দা। এটি চিনের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। চেন চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, একদিন সকালে উঠে তিনি আবিষ্কার করেন, কোনও পুরুষের গলার আওয়াজ তিনি শুনতে পাচ্ছেন না। এমনকী নিজের বয়ফ্রেন্ডের গলার আওয়াজও নয়।
চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানতে পেরেছেন, চেন 'রিভার্স-স্লোপ হিয়ারিং লস'-এ আক্রান্ত। যার ফলে তিনি শুধুমাত্র হাই ফ্রিকোয়েন্সির আওয়াজ শুনতে পাবেন। চিকিৎসকেরা মনে করছেন ক্লান্তি থেকে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
রিপোর্ট অনুযায়ী কানে শোনার এমন বিরল সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আগে চেন এর বমি ভাব ও কানে ঘণ্টার আওয়াজ বেজে উঠছিল। পরে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আচমকা তিনি এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।
হাসপাতালে গিয়ে ইএনটি বিশেষজ্ঞ দেখালে আসল ঘটনা সামনে আসে। মহিলা চিকিৎসক জানান, তাঁর কথা শুনতে পেলেও অন্য পুরুষ রোগীদের কথা শুনতে পাচ্ছিলেন না চেন। তারপর আরও পরীক্ষার পর পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়।
প্রসঙ্গত, 'রিভার্স-স্লোপ হিয়ারিং লস' ১৩ হাজার মানুষের মধ্যে একজনের হতে পারে। শিশু ও মহিলাদের হাই ফ্রিকোয়েন্সি থাকে গলার স্বরে। তবে পুরুষদের থাকে লো ফ্রিকোয়েন্সি। এই ধরনের সমস্যা হলে ফোনে কথা শোনা যায় না, পুরুষের গলা বা পরিবেশের লো ফ্রিকোয়েন্সির আওয়াজ শোনা যায় না।