ফের বিশ্বের আকাশে আতঙ্কের কালো মেঘ! সেই চিনেই বাদুড়ের শরীরে মিলল একঝাঁক নয়া করোনার ভাইরাস
করোনা আতঙ্কে ভুগছে গোটা বিশ্ব। মারণ এই ভাইরাসের গ্রাসে গোটা বিশ্বেই লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মারণ এই ভাইরাসের উতপত্তির রহস্যভেদ এখনও করা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ চিনকেই মারণ এই ভাইরাসের জন্মদাতা হিসাবে দেখে
করোনা আতঙ্কে ভুগছে গোটা বিশ্ব। মারণ এই ভাইরাসের গ্রাসে গোটা বিশ্বেই লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মারণ এই ভাইরাসের উতপত্তির রহস্যভেদ এখনও করা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ চিনকেই মারণ এই ভাইরাসের জন্মদাতা হিসাবে দেখেন।
কিন্তু চিনের মাটিতেই যে করোনার উৎপত্তি এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এটা ঠিক বেজিংয়ের উহাণ থেকেই করোনার সংক্রমণ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তবে চিন খুব কড়া ভাবে এই ভাইরাসের মোকাবিলা করেছে।
যার ফলও পেয়েছে হাতেনাতে। গোটা দেশ যখন সেকেন্ড এবং তৃতীয় ওয়েভ নিয়ে চিন্তিত তখন চিনে তেমন কোনও সংক্রমণের খবর সামনে আসেনি।
তবে এবার কি ফের একবার ভাইরাসের আক্রমণ কমিউনিস্ট এই দেশে! জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি নতুন গোত্রের করোনাভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন চিনের গবেষকরা। যা কিনা পাওয়া গিয়েছে বাদুড়ের দেহে! আর এই খবর সামনে আসতেই নতুন করে আশঙ্কা কালো মেঘ তৈরি হয়েছে।
সিএনএন-এ প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলছে, দক্ষিণ-পশ্চিম চিনে বাদুড়ের দেহ থেকে এই ভাইরাস খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা।
এমনই দাবি করে চিনা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন গোত্রের এই ভাইরাসই প্রমাণ করে দিচ্ছে যে কত ধরনের করোনাভাইরাসের বাহক বাদুড়। তাদের মধ্যে বেশ কিছু মানবদেহে সংক্রমণ ঘটায়। বাদুরের শরীর থেকে যে ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে তা অনেকটাই প্রথমে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে মিল পাওয়া গিয়েছে বলে জানাচ্ছেণ বিজ্ঞানীরা।
তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণা চাইছেন বিজ্ঞানীরা। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এই বিষয়ে স্যানডং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিনা গবেষকরা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু প্রজাতির বাদুড়ের দেহ থেকে ২৪ ধরনের নভেল করোনাভাইরাস সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে চারটে আবার সার্স কোভ-২ গোত্রের।
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, ২০১৯-এর মে থেকে ২০২০-র নভেম্বরের মধ্যে ছোট ছোট বাদুড় এবং জঙ্গলের বাদুড়ের মল, মূত্র এমনকি লালারসের পরীক্ষা করেছেন। সেখান থেকেই ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে সব করোনাভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন, তার মধ্যে একটি জিনগত ভাবে সার্স কোভ-২ এর সমগোত্রীয়, যা বর্তমানে অতিমারির সৃষ্টি করেছে।
তাঁরা আরও দাবি করেছেন, ২০২০-তে তাইল্যান্ড থেকে যে ভাইরাস সংগ্রহ করেছেন, তা সার্স কোভ ২-এর সমগোত্রীয়। এই পরীক্ষা থেকে এটাই স্পষ্ট যে, সার্স কোভ ২-এর সমগোত্রীয় ভাইরাসের বাহক বাদুড়ই। করোনার উৎস কি তা নিয়ে এখনও কোনও উত্তর মেলেনি।
আর এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন গোত্রের করোনাভাইরাসের সন্ধান সেই চিনের গবেষণাগারেই। যা নিয়ে নতুন করে আশঙ্কার কালো মেঘ জমতে শুরু করেছে বিশ্বের আকাশে।