সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শি জিনপিংয়ের, ভারতকে চাপে রাখতে নয়া কৌশল চিনা প্রেসিডেন্টের!
সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শি জিনপিংয়ের, ভারতকে চাপে রাখতে নয়া কৌশল চিনা প্রেসিডেন্টের!
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ইন্দো-চিন উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে চিনের সামরিক আধিকারিকদের ১৬ দফার বৈঠকের কথা রয়েছে সোমবার। তার আগেই চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত আট বছরে এই প্রথমবার জিনজিয়াং প্রদেশে চিনা সামরিক বাহিনীর বৈঠক করলেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
সামরিক বাহিনীর সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্টের বৈঠক
সরকারি সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জিনজিয়াংয়ে অবস্থানরত চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠক করেন। এই বৈঠকে সেন্ট্রাল কমিশনের প্রধান ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। চিনের জিনজিয়াংকে আরও স্থিতিশীল করতে এবং জিনজিয়াংয়ে অবস্থানরত সেনাদের অবদানকে সম্মান দিতেই জিনপিং এই বৈঠক করেন। প্রসঙ্গত, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চারদিনের সফরে জিনজিয়াংয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই সীমান্ত সুরক্ষাকে আরও মজবুত করার বার্তা দিতেই এই বৈঠক করেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। গত আট বছরে এই প্রথমবার জিনজিয়াংয়ে অবস্থানরত সেনাদের সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠক করেন।
জিনজিয়াংয়ের সামরিক প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের তাৎপর্য
কোনও দেশের প্রেসিডেন্ট যে কোনও সময় তাঁর দেশের সেনাবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করতেই পারেন। কিন্তু জিনজিয়াং প্রদেশে চিনা সামরিক বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বৈঠকের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। একদিন পরেই অর্থাৎ ১৭ জুন ভারত ও চিনের শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক বাহিনীর বৈঠক রয়েছে। কিন্তু তার আগে জিনপিংয়ের এই বৈঠক যেন ভারত সীমান্তে চিনা সেনাবাহিনীর কৌশলকে সমর্থন করছে। বৈঠকে চিনের বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবের তাদের কাজের কোনও মিল নেই বলেই আন্তর্জাতিক মহল জানাচ্ছে। একদিকে বার বার বৈঠকের মাধ্যমে চিন বোঝাতে চাইছে সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে তারা তৎপর। অন্যদিকে, ক্রমাগত সীমান্তের কাছে অবৈধ নির্মাণ গড়ে তুলছে। পাশাপাশি এলএসির কাছে চিনা সেনারা প্যাংগং জুড়ে সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে ক্রমেই তৎপর হয়েছে। তারমধ্যে জিনজিয়াং প্রদেশে সামরিক কমান্ডোর ও সেনাদের সঙ্গে জিনপিংয়ের বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বিতর্কিত চিনা কামান্ডার কিউ ফাবাওয়ের সঙ্গে বৈঠক
জিনজিয়াং প্রদেশে যেসব কমান্ডারের সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠক করেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন গালওয়ান উপত্যকায় রেজিমেন্ট কমান্ডার কিউ ফাবাও। ২০২১ সালে সিএমসি যাদের চিনের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান দিয়েছিল তাঁদের মধ্যে কিউ ফাবাও ছিলেন। সিএমসি মোট পাঁচজনকে গত বছর এই সম্মান দিয়েছিল। তারমধ্যে চার জন গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের ফলে মারা গিয়েছিলেন। তাঁদের মরণোত্তর এই সম্মান দেওয়া হয়েছিল।কমান্ডার কিউ ফাবাওকে চিনে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিক্সে মশাল হাতে দেখতে পাওয়া যায়। এরপরেই বিতর্কের মুখে পড়ে চিন। ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনা ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। অন্যদিকে, চিনা সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই কিউ ফাবাও।
জনমত নয়, শ্রীলঙ্কার সংসদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে এগিয়ে বিক্রমাসিংহে