মোদীর অরুণাচল সফরে রেগে কাঁই চিন, ফের ডোকলামের মতো সঙ্কটের হুঁশিয়ারি
ফের একবার বছর ঘুরতেই ডোকলামের মতো অবস্থা তৈরি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস।
ডোকলাম সঙ্কট ফের তৈরি হতে পারে ভারত-চিন সীমান্তে। গতবছরে ৭৩ দিন ধরে ডোকলাম বিতর্ক চলার পরে তার অবসান হলেও তারপরেও সীমান্তে চিনা নজরদারি বন্ধ তো হয়নি, এমনকী তারপরও চিনা সেনার দাপাদাপি চলেছে সমানে।
ফের একবার বছর ঘুরতেই ডোকলামের মতো অবস্থা তৈরি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস।
কয়েকদিন আগেই সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত সহ ভারতীয় ইন্টেলিজেন্সের কয়েকজন কর্তা ভূটান সফর করে আসেন। রিপোর্ট আসে যে চিনের সেনা পিপলস লিবারেশন আর্মি ভূটান সেনা রয়্যাল ভূটান আর্মির এলাকায় টহলদারি শুরু করেছে। ভূটানের এলাকা লহরিয়ং, সারিথং, সিঞ্চুলুম্পা, পাঙ্গকা লা এলাকায় চিনের সেনা প্যাট্রোলিং শুরু করেছে বলে ভারত জানতে পারে। চিনের দূরভিসন্ধি জানার পরই ভারত ভূটানের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
ভারতের তরফে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রাক্তন এনএসএ প্রধান শিবশঙ্কর মেনন স্পষ্ট জানান, ভারত-ভূটানের সম্পর্ককে নষ্ট করতে চিন উঠেপড়ে লেগেছে। এটা তাদের কূটনৈতিক উদ্দেশ্য।
এদিকে উল্টে চিনের দাবি, ভারত বারবার প্ররোচনামূলক কাজ করছে। এমন করলে ফের ডোকলামের মতো অবস্থা তৈরি হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অরুণাচলপ্রদেশ সফরে যান। এই রাজ্যকে চিন বরাবর দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করে। কখনও ভারতের অংশ বলে মানে না। সেখানে মোদী যাওয়ায় রেগে কাঁই চিনা মিডিয়া।
সেই দেখে চিনা সংবাদমাধ্যমের ব্যাখ্যা, ফের ডোকলামের মতো অবস্থা তৈরি হতে পারে। ভারত বারবার প্ররোচনামূলক আচরণ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এদিকে অন্য সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সীমান্ত এলাকায় চিনই গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে। বায়ুসেনা পাঠিয়ে সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছে চিন। ফলে নয়াদিল্লি ফের বেজিংয়ের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতেই পারে এবছর।