চিনের জিনপিং সরকার কীভাবে প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে তথ্য হাতাতে কাজে লাগাচ্ছে! বেজিংয়ের বড় চাল
ভারত প্রথম দফায় চিনের ৫৯ টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। এরপর পরের দফা. ৪৭ টি। মূলত ভারত চিনকে ভাতে মারতে উদ্যোগী হয়ে, চিনের অর্থনীতির ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পথে যাচ্ছিল। কিন্তু যতই চিনা অ্যাপ নিয়ে দিল্লি পদক্ষেপ নিতে এগিয়েছে, ততই দিল্লির সামনে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে। যার মধ্যে ২০১৭ সালে চিনের প্রযুক্তি সংক্রান্ত একটি আইন ঘিরে ভারতীয় গোয়েন্দারা রীতিমতো কাটাছেঁড়া করতে শুরু করেছে।
রাতারাতি আইন পাশ
২০১৭ সালের ২৭ জুন চিন প্রযুক্তি সংস্থা সম্পর্কিত আইনটি আনে । আর ঠিক তার পরের দিন ২৮ জুন সেই আইন পাশ হয়ে যায় চিনে। এই আইনের হাত ধরে প্রযুক্তি সংস্থার মাধ্যমে চিনের জিনপিং সরকার তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ের মালিকানা নিজের হাতে রেখেছে। উল্লেখ্য, বেশিরভাগ এই চিনা প্রযুক্তি সংস্থা আন্তর্জাতিক বাজারে ছড়িয়ে রয়েছে। যা বিভিন্ন দেশের কাছে গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি করতে শুরু করেছে।
কেন দিল্লির নজর এই চিনা অ্যাপে?
২০১৭ সালে চিনের একটি আইন অনুাযায়ী,চিনের সমস্ত প্রযুক্তি সংস্থা চিনের সরকারের মালিকানাধীন। এই আইন বলছে, সরকার চাইলে এই তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থা থেকে তথ্য নিতে পারে। আর সেই মর্মেই কপালে ভাঁজ পড়েছে দিল্লির। চিনের সরকারী মালিকানাধীন সংস্থা চিনের সরকারকে তথ্য পাচার করছে কি না , তা নিয়ে দ্বন্দ্বে দিল্লি।
কী কী করতে পারে চিন এই অ্যাপের হাত ধরে?
২০১৭ সালে চিনের ইনটেলিজেন্স আইনের হাত ধরে সিপিসি চাইলে বিদেশী বা অভ্যন্তরীণ কোনও নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের ওপর তদন্ত করতে পারে। এমনকি তথ্যের জন্য সংস্থাগুলি বা নাগরিকের ওপর গোয়োন্দাগিরিও চিন সরকার চালাতে পারে বলে জানানো হয় ওই আইনে।
গোয়েন্দাগিরি ও চিনের গুপ্তচরবৃত্তি
২০১৭ সালের জুনে পাশ হওয়া আইন বলছে, চিন চাইলে আইনিভাবে দেশ ও দেশের বাইরে নিজের গোয়েন্দাদের দিয়ে নির্দিষ্ট কাজ করাতে পারে। যারা এই আই মানবে না তারা ১৫ দিনের ডিটেনশনে থাকবে বলেও ওই আইন জানিয়েছে। এই আইনের বিরোধিতা অপরাধ বলে চিনে গণ্য হয়।
ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণে ফের কমতি! পরিসংখ্যান কী বলছে