পাল্টা কূটনৈতিক চাল বেজিংয়ের, ভারতীয় বিদেশসচিবের আগমনের পরেই নেপাল সফরে চিনা বিদেশমন্ত্রী
ভারতীয় বিদেশসচিবের দু-দিনের নেপাল সফরের পরে এবার তৎপরতা বাড়াতে শুরু করল বেজিংও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নেপালের মানচিত্র বিতর্কের প্রায় পাঁচ মাস পর অবশেষে ভারতীয় বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলার হাতেই ইন্দো-নেপাল সম্পর্কে বরফ গলার ইঙ্গিত মেলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এবার তাতেই চাপের মুখে পড়েছে চিন। এবার, শ্রীংলার সফরের ঠিক একদিন পর এবার নেপাল উড়ে আসছেন চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গে।

সূত্রের খবর, রবিবার শুধুমাত্র একদিনের সফরেই আসছেন চিনা বিদেশ সচিব। বৈঠক করতে পারেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ও একাধিক একাধিক উচ্চপদস্থ সরকারি আমলার সঙ্গে। এদিকে গত কয়েক মাসে অনেকটাই অবনতি হয় ইন্দো-নেপাল সম্পর্কের। আর প্রতিক্ষেত্রেই প্রধান মদতদাতা হিসাবে উঠে এসেছে চিনের নামই। এমনকী ভারতীয় ভূখণ্ডের কালাপনি, লিম্পিয়াধুরা এবং লিপুলেখকে নিজেদের বলে দাবি করে ৫ মাসেই সংশোধনে নতুন সংশোধনী আনে নেপাল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লাদাখ সংঘর্ষের রেশ ধরে দিল্লিকে ঘরে বাইরে চাপে রাখতে নেপালের এই কাজে পরোক্ষভাবে ইন্ধন দেয় বেজিং। এদিকে ভারতীয় বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলার ২৬ ও ২৭ নভেম্বর দু-দিনের কাঠমান্ডু সফরে সেই জট অনেকটাই কাটার ইঙ্গিত মেলে বলে জানা যায়। এমনকী করোনা যুদ্ধেও সর্বত ভাবে নেপালের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেয় ভারত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এমতাবস্থায় এবার পাল্টা কূটনৈতিক চালে ভারতে ঘায়েল করতেই নেপাল আসছেন তিনা বিদেশ মন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ২৯ তারিখ ওয়েই ফেঙ্গের আগমণ বার্তা জানিয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে নেপালের বিদেশ মন্ত্রক।

চিনে করোনার উৎপত্তি নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রাখল হু, বেজিংয়ের নিশানায় ভারত! তীব্র চাঞ্চল্য বিশেষজ্ঞ মহলে