ভারতের লাদাখে চিনের ভুখণ্ড! কাশ্মীর-বিভাজনে সীমান্ত চুক্তি নিয়েও উঠে পড়ল প্রশ্ন
লাদাখে চিনের ভুখণ্ডও রয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সামনেই এমনটাই দাবি চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। চিনের যুক্তি, তাদের বাহিনী নিয়মিত লাদাখে অনুপ্রবেশ করে, লাদাখ কেন্দ্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় তা বাধার সম
লাদাখে চিনের ভুখণ্ডও রয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সামনেই এমনটাই দাবি চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। চিনের যুক্তি, তাদের বাহিনী নিয়মিত লাদাখে অনুপ্রবেশ করে, লাদাখ কেন্দ্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় তা বাধার সম্মুখীন হবে। চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ভারতীয় প্রতিপক্ষ এস জয়শঙ্করকে পাশে নিয়েই বলেন, এই লাদাখের মধ্যে চিনের অঞ্চলও রয়েছে।
ওয়াং বলেন, ভারত সরকার লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে চিনা ভূখণ্ডও অন্তর্ভুক্ত। ফলে চিনের সার্বভৌমত্বের পক্ষে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে ওই ঘোষণা। তাঁর যুক্তি, সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে তা দু'দেশের চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
জয়শঙ্কর ওয়াংকে পাল্টা বলেন, লাদাখ তৈরির সঙ্গে ভারতের বাহ্যিক সীমানা বা চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) তেমন কোনও প্রভাব নেই। আর ভারত কোনও অতিরিক্ত অঞ্চলের দাবিও উত্থাপন করছে না। ওয়াং বলেন, চিন কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ক্রমবর্ধমান ভারত-পাকিস্তান বিরোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন। জম্মু কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা শেষ হওয়ায় ভারতের এই পদক্ষেপ বিতর্কিত অঞ্চলের স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করবে এবং এর ফলে আঞ্চলিক উত্তেজনা দেখা দেবে।
তিনি আরও যোগ করেন, চিন বিশ্বাস করে যে কাশ্মীরের পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে এমন একতরফা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত নয়। এই পরিস্থিতিতে জয়শঙ্কেরর চিন সফর তাই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কাশ্মীর বিষয়ে চিনের মতামত, অবস্থান এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে বিশেষ বার্তা মিলবে এই সফরে। এটিকে তাই 'জরুরি সফর' বলে অভিহিত করেছেন অনেকে।