নেপালের মসনদে ওলির কাঠপুতুল সরকার বাঁচাতে মরিয়া চিন! কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে গোপন বৈঠক বেজিংয়ের
প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি-র সঙ্গে নেপাল কমিউনিস্টপার্টির সহ-সভাপতি পুষ্প কমল দাহাল-এর একটি বৈঠক হয় রবিবার। তবে তাতে কোনও রফা সূত্র বের হয়নি। এরপর সোমবার সকালে ফের পরবর্তী আলোচনায় বসার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। এরই ফাঁকে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন নেপালে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত।
ভাঙন ঠেকাতে আরও আলোচনা
শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে ভাঙন ঠেকাতে আরও আলোচনার জন্য আগেই বালুওয়াতারে প্রধানমন্ত্রী ওলির সরকারি বাসভবনে যান প্রচণ্ড। প্রসঙ্গত, শাসকদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের মধ্যেই সংসদ অধিবেশন শুরুর পর থেকে ওলি ও প্রচণ্ড সহ দলের দুই সহ-সভাপতিই বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।
প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগের দাবি
এর আগে ৩০ জুন স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন বেশিরভাগ সদস্য। বিভিন্ন ইশুতে তাঁর সরকারের 'ব্যর্থতা' এবং বিশেষত ভারত সরকার 'তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছে' এমন প্রকাশ্য বিবৃতির পর, দলের অভ্যন্তরে ও বাইরে তীব্র সমালোচিত হন প্রধানমন্ত্রী ওলি।
বেজিং 'বন্ধু' ওলির গদি বাঁচাতে উঠে পড়ে লাগল
তবে এই আবহে বেজিং 'বন্ধু' ওলির গদি বাঁচাতে উঠে পড়ে লাগল। ভারত-নেপাল সম্পর্ক নিয়েবিতর্কিত মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির পদত্যাগ দাবি করে তাঁরই দল। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক উপদেষ্টা সূর্য থাপা জানান, এই ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি বোঝার জন্য আরও সময় চেয়েছে শাসকদল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব।
পাকিস্তানের সঙ্গে নেপালের 'বন্ধুত্ব'
এদিকে শুধু বেজিং নয়, কেপি ওলির সময়কালে নেপাল পাকিস্তানেরও ঘটনিষ্ট হয়ে পড়েছে। এদিকে কালাপানি সহ একাধিক ইস্যুতে ঐতিহাসিক বন্ধু ভারতের অনেকটাই দূরে চলে গিয়েছে। তবে নেপাল বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভারতের উপর নির্ভরশীল। এরই মধ্যে চিন নেপালের জমি দখল করলেও কেপি ওলি কোনও উচ্চবাচ্য না করায় পরিস্থিতি আরও গম্ভীর হয়ে উঠেছে।
লাদাখ থেকে চিনের সেনা সরতেই 'মোদীকে ক্ষমা চাইতে হবে' দাবিতে সরব কংগ্রেস