গালওয়ান নদীর জল উপচে পড়ায় বাধার মুখে চিনা নির্মাণকাজ, উপগ্রহ চিত্রে কী ধরা পড়ল দেখে নিন
গালওয়ান নদীর জল উপচে পড়ায় বাধার মুখে চিনা নির্মাণকাজ, উপগ্রহ চিত্রে কী ধরা পড়ল দেখে নিন
উপগ্রহ চিত্রে আগেই দেখা গিয়েছিল গালওয়ানে পাকা ঘাঁটি গড়েছে চিন। গত ২০ জুন গালওয়ান নদী উপত্যকায় পেট্রোল পয়েন্ট ১৪-এ কেবল একটি তাঁবু ছিল। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, সেই এলাকায় রীতিমতো কাঠামো তৈরি করে সেনা-ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে চিন। এই জায়গাতেই গত ১৫ইজুন লালফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ভারতীয় সেনা।
চিনের নবনির্মিত সেতুর দুই ধারেই উপচে পড়ছে জল
সূত্রের খবর, বুলডোজ়ার, আর্থ মুভার ব্যবহার করে পাহাড়ের দেওয়াল কেটে রাস্তাও বানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে ভারতের যে অংশ দখল করে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে চিন সেখানে গালওয়ান নদীর জলপ্রবাহ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে চিন সেনা দ্বারা সদ্য নির্মিত এই রাস্তা জলপ্রবাহের দ্বারা ধুয়ে যেতে বসছে। রাস্তার দু'ধারেই উপচে পড়ছে জল।
২৫শে জুন এই উপগ্রহ চিত্র গুলি তোলা হয় বলে জানা যাচ্ছে
প্লেন ল্যাবস উপগ্রহ দ্বারা উচ্চ রেজোলিউশনের এই ছবি গুলি গত ২৫ জুন তোলা হয় বলে জানা যাচ্ছে। সেখানেই বর্তমানে প্রকৃতি খামখেয়ালিপনার জেরে বিপদের মধ্যে পড়ছে চিনা নির্মাণকাজ। কেবল পয়েন্ট ১৪-র নয়, গালওয়ান উপত্যকার বড় অংশ জুড়েই দীর্ঘমেয়াদি নজরদারি পোস্ট বানানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চিন। ভারী অস্ত্রশস্ত্র প্রতিস্থাপনের কাজও চলছিল বলে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি পেট্রোল পয়েন্ট ১৪ পর্যন্ত যাতে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যায়, তার জন্য নদীর উপরে কালভার্টও বানানো হয়েছে চিনের তরফে।
২০১০ সালের ছবিতে দেখা গেছে গালওয়ান উপত্যকায় কোনও রাস্তা দেখা যায়নি
এদিকে চিন গালওয়ান নদীর গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করছে বলে একাধিকবার অভিযোগ করেছিল ভারত। একাধিক উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে নদীতে বাঁধ দেওয়ার কাজও সেরেছে চিন সেনা। এমনকি প্রবহমানতাকে অন্যপথে ঘোরাতে তাকে প্রস্থের দিক থেকে ছেঁটে ফেলাও হচ্ছে। এদিকে ২০১০ সালের ছবিতে দেখা গেছে গালওয়ান উপত্যকায় কোনও রাস্তা ছিল না। ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ধীরে ধীরে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করে চিন।
গালওয়ানে ২৫ মাইল পর্যন্ত ঢুকে এসেছে লাল-ফৌজ
সূত্রের খবর, ইঞ্জিনিয়ারদের সহায়তায় চিনা সেনারা গালওয়ান নদীকে আরও গভীর করার চেষ্টা করছেন। ফলে এটি প্রস্থের দিক থেকে আরও সংকুচিত হবে। ফলস্বরূপ নদীর ধারে আরও বেশি সেনা মোতায়েন করা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যেই গালওয়ানে ২৫ মাইল পর্যন্ত চিনের সেনা প্রবেশ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে এখানেই গালওয়ান নদীর জল চিনের নবনির্মিত রাস্তার উপর দিয়ে বইছে বলে জানা যাচ্ছে।
গালওয়ানের জল উপচে পড়ায় ভেঙে পড়ছে সেতু, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সেনা ছাউনি
বর্তমানে উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে নদী তীরবর্তী পিএলএর বিশাল বিশাল তাঁবুগুলি সেনার সাঁজোয়া গাড়ি গুলির থেকে আলাদা হয়েছে। এদিকে গালওয়ানের জল বাড়তে থাকায় নদী তীর গুলির সংযোগ কারি সেতুটিও ভেসে গেছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন নদী প্রস্ত হ্রাস করে চিনের তৈরি করা নতুন ভূখণ্ডটিও গালওয়ানের জল উপচে পড়ায় অনেকটাই ধসে গেছে। এদিকে দুই দেশের সেনা কর্তাদের মধ্যে ১০ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকের পর চিন আগের অবস্থান থেকে খানিক সরলেও ভারতের যে অংশ দখল করে তারা নির্মাণকাজ চালাচ্ছে, তা থেকে সরে আসবে কি না, সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি! ইরান-আমেরিকা যুদ্ধের আবহ তুঙ্গে