চিনকে হাতে রাখতে গদর বন্দর দান পাকিস্তানের, চরম সমালোচনার মুখে ইমরান খানের সরকার
চিনের প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের ঠিক একদিন আগে চিন সফরে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দাদার যাতে মন বদলে না যায় সেকারণে আস্ত একটি বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব চিনের হাতে তুলে দিয়েছে পাক সরকার।
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভারত সফরের ঠিক একদিন আগে চিন সফরে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দাদার যাতে মন বদলে না যায় সেকারণে আস্ত একটি বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব চিনের হাতে তুলে দিয়েছে পাক সরকার। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করে পাকিস্তানের গদর বন্দরের পরিচালনা এবং উন্নয়নের দায়িত্ব িচনের হাতে তুলে দিয়েছেন ইমরান।
বন্দর হস্তান্তর করে ফের বিপাকে ইমরান
ফের বড় এবং বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত নিল ইমরান সরকার। নিজের দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গভীর সমুদ্র বন্দর গদর নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনার দায়িত্ব চিনের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। চায়না ওভারসিজ পোর্ট হোল্ডিং কোম্পানি এবার থেকে এই বন্দরের দায়িত্ব নিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের এই চুক্তির পর চিনা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁরা ধুঁকতে থাকা গদর বন্দরকে করাচির থেকেও লাভজনক এবং উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাবে। আর্থিক সংকটে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানে ৪৭,০০০ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে জানিয়েছে তারা।
এদিকে ইমরানের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে সমালোচনা। দেশের একাধিক স্তরে এই নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিরোধীরাও তাতে সামিল হয়েছে।
ভারত সফরের আগে ইমরানের সঙ্গে বৈঠক জিনপিংয়ের
ভারত সফরের ঠিক একদিন আগেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে শি জিনপিংেয়র বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে চিনকে হাতে রাখতেই ইমরান গওয়াডর গভীর সমুদ্রবন্দরটি তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছে। কারণ কাশ্মীর ইস্যুতে একমাত্র চিনকেই পাশে পেয়েছিল পাকিস্তান। যদিও আন্তর্জাতিক সমর্থনের চাপে চিন খুব বেশি বিরোধিতা করতে পারেনি ভারতের। তারপরেও চিনকে হাতে রাখার মরিয়া চেষ্টা চালাতেই ইমরানের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার পথেই হাঁটল পাকিস্তান
গভীর সমুদ্র বন্দর চিনের হাতে দিয়ে সেই শ্রীলঙ্কার পথেই হাঁটল পাকিস্তান। কারণ বন্দরের হাল ফেরাতে চিনের হাতে এখন শ্রীলঙ্কার একাধিক সমুদ্রবন্দর। সেই দিক থেকে পাকিস্তানের এটা প্রথম পদক্ষেপ বলা চলে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা যে এখন বুঝতে পারছে সেই ভুল পদক্ষেপ। সেটা পাকিস্তানের বুঝতে এখনও অনেক সময় লাগবে।
তবে পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা যে চরম সংকটজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে তাতে ইমরানের পক্ষে দ্বিতীয় কোনও উপায়ও ছিল না।
[ দ্বাদশীতেও উৎসবের মেজাজ, ধুনুচি নাচে পুরুষদের টেক্কা দিলেন মহিলারা]
[ নিজের বিরুদ্ধে নিজেই লাগু করলেন জরিমানা! মহারাষ্ট্রের আইএএস অফিসারের কাণ্ডে তাজ্জব অনেকেই ]