গালওয়ানের পর প্যাংগংয়ে বাড়ছে চিনা উপস্থিতি! লাদাখের এলাকা দখলের কোন নয়া ফিকির করছে বেজিং?
পারস্পরিক শর্ত মেনে সীমান্তের উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য মঙ্গলবার চুশুলে চিন ও ভারতের সেনা আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। এরই মধ্যে অবশ্য চিন ভারতীয় ভূখণ্ডে ৪২৩ মিটার ঢুকে গিয়েছে। এমই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সাম্প্রতিক এক স্যাটেলাইট চিত্রে।
গালওয়ানে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছে চিন
২৫ জুনের এক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৪২৩ মিটার দখল করে নিয়েছে চিন। ১৯৬০ সালে বেজিংয়ের সীমান্ত রেখার দাবি করা এলাকা থেকেও ভিতরে চলে এসেছে চিনা বাহিনী। ২৫ জুনের এক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় এলাকায় চিনের ১৬টি তাঁবু ও অন্তত ১৪টি গাড়ি ছিল।
প্যাংগংয়ের বিতর্কিত এলাকা নিয়ে চিনা দাবি
এদিকে শুধু গালওয়ান নয়, প্যাংগংয়ের বিতর্কিত এলাকাকে নিজেদের অধিগ্রহণে বলে দাবি করে চিহ্নিত করল জিনপিংয়ের দেশ। ১৫ জুন, ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ যায় এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় সেনার এবং আহত হন ৭০ জনেরও বেশি সেনা। তারপর থেকেই দু'দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা যেন আরও বাড়ছে।
সীমান্তে টহলদারি নিয়ে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব
টহলদারী সীমান্ত নিয়ে বরাবরই ভারত ও চিনের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। ভারত বিশ্বাস করে 'ফিঙ্গার ১' থেকে 'ফিঙ্গার ৮' পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদের এবং চিন মনে করে যে 'ফিঙ্গার ৮' থেকে 'ফিঙ্গার ৪' পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদেরই।
১৫ জুন ঘটে যাওয়া ফিঙ্গার ৮-এর ঘটনা
১৫ জুন, এই 'ফিঙ্গার ৪' এলাকাতেই উভয় পক্ষের সেনার মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ বাঁধে। পরে উভয় পক্ষের সীমানা যেখানে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্যকে কাঁটাতারের সাথে জড়িত লাঠির মতো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। 'ফিঙ্গার ৪'-এ এই জন্যেই উল্লেখযোগ্য হারে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে চিন যাতে ভারতীয় সেনারা আর 'ফিঙ্গার ৮' এর দিক দিয়ে টহল দেওয়ার সুযোগ না পায়।
১৮৬ টি সেনা ছাউনি তৈরি চিনের
যে এলাকাটি চিন ইতিমধ্যেই দখল করার চেষ্টা করছে, উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে সেখানে কমপক্ষে ১৮৬ টি সেনা ছাউনি, আশ্রয়কেন্দ্র এবং বিভিন্ন আকারের তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। ভারতও পাল্টা টি-৯- ভীষ্ম ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে লাদাখে।
টিকটকের বিকল্প কী? লাদাখ নিয়ে চিনের সঙ্গে সংঘাতের মাঝেই আত্মনির্ভরতার পথে ভারত