তিব্বতে ছদ্ম-যুদ্ধ চিনা সৈন্যের, এ কীসের প্রস্তুতি
তিব্বতে সুউচ্চ এলাকায় বৃহস্পতিবার চিনা সেনাবাহিনী সামরিক-বেসামরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পরীক্ষা করার জন্য সামরিক অনুশীলন করল।
হিমালয়ের দুর্গম এলাকায় তিব্বতে নিযুক্ত চিনা সৈন্য সামরিক অনুশীলন করল। চিনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ওই দুর্গম এলাকায় চিনা সেনা বাহিনীর প্রয়োজনীয় পন্য পরিবহনের ক্ষমতা, অস্ত্রশস্ত্রের জোগান, সামরিক ও অসামরিক ব্যক্তিদের যোগাযোগ -এইসব পরীক্ষা করার জন্যই ওই অনুশীলন করা হয়। ডোকালাম স্ট্যান্ড অফের পর থেকে এই প্রথম চিনা সেনাবাহিনী তিব্বতে এই ধরণের অনুশীলন করল।
বৃহস্পতিবার কুইঙ্ঘাই-তিব্বত প্লেটের কঠিন জলবায়ুতে চিনের পিপল লিবারেশন আর্মি ছদ্মযুদ্ধ চালায়। তাদের সাহায্যে ছিল স্থানীয় প্রশাসন ও সংস্থাগুলি। যুদ্ধে কখনও তাদের জ্বালানি তেল ফুরিয়েছে। এক স্থানীয় তেল সংস্থা তাদের বাড়তি তেলের জোগান দিয়েছে। স্থানীয় লাসা সরকার সৈন্যদের জন্য পাঠিয়েছে খাদ্য।
আসলে তিব্বতে এখনও দলাই লামার সময়কার স্মৃতি দগদগে হয়ে আছে। তাই এই প্রান্তিক রাজ্যে চিনের কমিউনিস্ট সরকারের এখনও যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। তার ওপর হিমালয়ের এই দুর্গম এলাকাগুলিতে যুদ্ধ চালাতে গেলে যে জোগানের দরকার পড়ে তা পৌঁছানো খুবই সমস্যার।
১৯৬২ সালে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জয়লাভ করেও তাদের অনেক এলাকা ছেড়ে দিতে হয়েছিল স্রেফ জোগানের অভাবে। এই ফাঁক পূরণ করতে চাইছে বেজিং। তারা এক নতুন সামরিক দৃষ্টিভঙ্গীর কথা বলছে। হিমালয়ের দুর্গম এলাকাগুলিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগাযোগ বাড়াতে চাইছে তারা। প্রয়োজনীয় জোগান যাতে স্থানীয় স্তরেই জোগার করা যায় তার জন্যই এই প্রচেষ্টা।
এই বিষয়টি কিভাবে বাস্তব করা যেতে পারে তার ধারণা করতেই হিমালয়ের বুকে এই ছদ্ম যুদ্ধ চালালো পিএলএ বলে জানানো হয়েছে। সঙ ঝংপিং নামে এক চিনা সামরিক বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন অনুশীলনে দেখা গিয়েছে সামরিক-অসামরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি খুবই বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা এবং এতে চিনা সৈন্যর শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে। ডোকালামের পর আপাতত ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিকের দিকে এগোলেও চিনা প্রস্তুতি কিন্তু ভারতকে ষথেষ্ট চাপে রাখছে।