চিনের চোরাপথে অস্ত্র কারবারি ভারতের কালাদান প্রজেক্ট টার্গেট করে চলছে! কী ঘটছে উত্তরপূর্ব সীমান্তে
মিজোরামের দক্ষিণপ্রান্তে শুরু হয়েছে কালাদান প্রজেক্ট। চিন সীমান্তের এই প্রজেক্ট ঘিরে প্রবল নিরাপত্তার ঘেরাটোপ রয়েছে। এদিকে, এই কালাদান প্রজেক্ট নিয়েই চিনের অস্ত্রের চোরাকারবারি উদ্বেগে রেখেছে ভারতের প্রশাসনকে।
কালাদান প্রজেক্ট ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন?
চিন কোনও মতেই চাইছে না যে ভারত নিজের সীমান্তে পরিকাঠামো উন্নত করুক। এদিকে, কালাদান প্রজেক্টের হাত ধরে উত্তরপূর্বের সঙ্গে দেশের অন্য প্রান্তোর যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। কলকাতা থেকে মিজোরামের দূরত্ব এটি ১০০০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে। যা পার করতে ৪ দিন লাগত। প্রজেক্টটি দেশের বাণিজ্যকে সুঠাম করবে। এমন অবস্থায় বাধ সাধছে চিনের অস্ত্র কারবারি।
উত্তরপূর্বের উগ্রপন্থায় চিনে উস্কানি
গোয়েন্দাদের তথ্য বলছে, উত্তরপূর্বের সীমান্তে নজর রাখা উগ্রপন্থী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে চিন অস্ত্র সরবরাহ করছে। মায়ানমারের এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠী ভারত সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় শিবির গাড়ছে। এদিকে, মায়ানমার সেনার প্রবল দাপটে তারা একের পর এক ঘাঁটি বদল করতে বাধ্য হচ্ছে। আর এদেরই অস্ত্র তুলে দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছে চিন।
কালাদান প্রজেক্টে আরাকান আর্মির নজর
জানা যাচ্ছে যে, কালাদান প্রজেক্টের কর্মীদের থেকে তোলাবাজি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে মায়ানমারের আরাকান আর্মি। এর আগে বহু ভারতীয় কর্মী , যাঁরা কালাদান প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত, তাঁদে তুলে নিয়ে গিয়ে অপহরণ করে হত্যা করেছে আরাকান আর্মি।
কেন উদ্বেগ আরাকান আর্মিকে নিয়ে!
আইইডি বিস্ফোরণে সিদ্ধহস্ত এই আরাকান আর্মি। এছাড়াও ইএও, ইউনাইটেড স্টেট আর্মি সহ একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে যাদের উস্কানি দিয়ে চিন ভারতের উত্তরপূর্বে ভাঙন ধরানোর চেষ্টায় রয়েছে। এদিকে, ভারত সীমান্তে এই সমস্ত গোষ্ঠীকে দিয়ে চিন অস্ত্রের কারবারি শুরু করেছে। চিনের একটি অস্ত্র কারখানা সীমান্তে রমরমা দেখাচ্ছে বলেও খবর গোয়েন্দা সূত্রে। সবমিলিয়ে এমন পরিস্থিতিতে কার্যত প্রাণ হাতে করে সীমান্তে কর্মীরা কালাদান প্রজেক্টে রয়েছে।