ফের কোভিডের ধাক্কায় বিধ্বস্ত চিনের জিনজিয়াং প্রদেশ, করোনা ঠেকাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা প্রশাসনের
ফের কোভিডের ধাক্কায় বিধ্বস্ত চিনের জিনজিয়াং প্রদেশ, করোনা ঠেকাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা প্রশাসনের
ফের কোভিডের ধাক্কায় ভয়াবহ অবস্থা চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে। করোনার পুনরাগমনে চিনের পশ্চিমের এই জিনপিং প্রশাসন লাল সতর্কতা ডারি করেছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাঠে নেমেছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, রবিবার সকাল পর্যন্ত সেখানে নতুন করে ১৭ জনের শরীরের করোনা সংক্রমণ দেখা গেছে। একইসাথে আরও ২৩ জন উপসর্গহীন করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে। পাশাপাশি কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে ২৬৯ জনকে।
জিনজিংয়াং পরিদর্শনে উহানের ২১ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
চিনা দৈনিক চ্যাংজিয়াং-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, উহান থেকে ২১ জনের একটি বিশেষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দলকে জিনজিয়াং-এর রাজধানী উরুমকিতে আনা হয়েছে। চিনের স্বাস্থ্য-দপ্তর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে প্রায় ১৭ জন আক্রান্ত হন উরুমকিতে। উরুমকির সরকারি হাসপাতালের হিসেব অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে শনিবার দুপুরের মধ্যে নতুন করে আরও ১১ জন আক্রান্ত হন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে নীতিগত বিরোধ
জিনজিয়াং প্রদেশে ২৩ জন উপসর্গহীন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে, যাঁরা চিনে নতুন করে আক্রান্তদের তালিকায় নথিভুক্ত নন। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, উক্ত কয়েকজনের আক্রান্তের তালিকায় নথিভুক্ত হওয়ার কথা। ফলত, আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা এর মধ্যে চিনের উইঘুরু মুসলিমদের কোণঠাসা করার পরিকল্পনা দেখতে পাচ্ছেন। অন্যদিকে জিনজিয়াং-এর উরুমকির প্রায় ৩৫ লক্ষ জনগণকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। যুদ্ধকালীন আবহ জারি করার মধ্য দিয়ে সমস্তরকমের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পরীক্ষা ছাড়া শহর ছাড়ার অনুমতি মিলছে না
আন্তর্জাতিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের উরুমকিতে মোটামুটি সকল জনবসতিকেই সম্পূর্ণ সিল করা হয়েছে এবং যাঁরা শহর ছেড়ে বাইরে যেতে চান, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নতুন করে করোনা সংক্রমণের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও উরুমকির রোগ নিয়ন্ত্রক ও নিরাময় কেন্দ্রের প্রধান রুই বাওলিংয়ের মতে তিয়ানশান জেলায় হওয়া গোষ্ঠী সংক্রমণের জেরে নতুন করে আবারও এই অঞ্চলে করোনার বাড়াবাড়ন্ত দেখা গেছে।
সংক্রমণের কারণ খুঁজতে জিনগত পরীক্ষার দাবি
রুই বাওলিং জানান, শহরের প্রশাসন চাইছে যাতে সত্ত্বর জিন অনুক্রম পরীক্ষা শুরু করে দ্বিতীয়বারের জন্য জিনজিয়াং-এ কোভিড সংক্রমণের কারণ অন্বেষণ করা হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৫০ দিনের মধ্যে পুনরায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যায় তিয়ানশান জেলায়। সম্প্রতি সুপারমার্কেটে কর্মরত ২৪ বছরের এক যুবতী করোনায় আক্রান্ত হন বলে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার ওই যুবতীর উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরের দিনই করোনা পজিটিভ বলে চিহ্নিত হন ওই যুবতী।
৭ টি সংস্থা ভারতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজে ব্যস্ত! কোন ভ্যাকসিনের অবস্থান কোথায়