লাদাখের সেনা সংঘর্ষকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা চিনা রাষ্ট্রদূতের, চাপের মুখে পড়েই সুর নরম ?
‘গোটা ঘটনাই দুর্ভাগ্যজনক’ সীমান্ত সংঘাত নিয়ে সুর নরম ভারত নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতের
ভারত-চিন সংঘাত ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই কোণঠাসা হচ্ছে বেজিং। এদিকে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে সেনা সংঘর্ষের পর কেটে গেছে প্রায় দুমাসেরও বেশি সময়। মুখে পুরনো স্থিতাবস্থা ফেরানোর কথা বললেও সীমান্ত এলাকায় বাস্তবে উল্টোপথেই হাঁটতে দেখা গেছে বেজিংকে। এদিকে বর্তমানে চিনকে অর্থনৈতিক ভাবে বয়কটের রাস্তাতে হাঁটছে ভারত। যার জেরে অনেকটাই কোমড় ভেঙেছে শি জিনপিং প্রশাসনের। এমতাবস্থায় গালওয়ান সেনা সংঘর্ষ নিয়ে খানিকটা সুর নরম করতে দেখা গেল ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডংকে।
ভারত-চিন যুব ফোরামের বৈঠকে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে সুর নরম চিনা রাষ্ট্রদূতের
সূত্রের খবর, গত ১৮ অগাস্ট ভারত-চিন যুব ফোরামের এক বৈঠকে নিজের মত প্রকাশ করেন সান ওয়েডং। সেখানেই লাদাখে সেনা সংঘর্ষের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। ঘটনাটি ভারত-চিন সম্পর্কের ইতিহাসে একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা বলে উল্লেখ করা হবে বলেও মত প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে।
চলতি মাসেই সেনা সংঘর্ষ নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন ওয়েডং
এদিকে এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় এই রাষ্ট্রদূতই গালওয়ান সেনা সংঘর্ষ নিয়ে ফের সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় চিনা দূতাবাসের ম্যাগাজিনে এই প্রসঙ্গে ফের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করেন সান ওয়েডং। তাঁর কথায় ভারতের ও চিনের মধ্যে হওয়া সীমান্ত চুক্তি ভঙ্গ করে ১৫ই জুন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতীয় সেনা। ইচ্ছা করে চিনা সেনাদের উস্কানিও দেওয়াতেই হাতাহাতি শুরু হয় বলে মত তাঁর।
চিনকে কোণঠাসা করতে একাধিক কৌশল নিয়েছে ভারত
এদিকে ১৫ই জুন দুই ভারত-চিন সেনা রক্তক্ষয়ী সেনা সংঘর্ষে ভারতের তরফে ২০ জন সেনার মৃত্যুর খবর মেলে। মৃতের তালিকায় ছিলেন এক কর্ণেলও। বর্তমানে এই ঘটনার পর থেকেই চিনের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞার পথে হেঁটেছে ভারত। বাতিল হয়েছে একাধিক বাণিজ্য চুক্তি। বয়কট করা হয়েছে চিনা পন্য। নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়েছে ১০০টিরও বেশি চিনা অ্যাপ।
সামগ্রিক উন্নতিতে বন্ধুত্বের বার্তা সান ওয়েডংয়ের
বর্তমানে ভারত-চিন যুব ফোরামের ওয়েবিনারে সান ওয়েডং বলেন, 'দুই প্রতিবেশী দেশ হিসাবে ভারত ও চিনের পুরনো মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ। এটা না হলে দুটি উন্নত দেশেরই ক্ষতি, এমনকী দু-দেশই ভুল পথে চালিত হতে পারে।' তার কথায়, ‘দুই দেশের অর্থনীতি একে অপরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চললেই উন্নতি হবে। তাই সানগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দুই দেশেরই একটি শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন।'
গান্ধী ভীতিতে মুখে কুলুপ কংগ্রেস নেতাদের! সভাপতি ইস্যুতে অসন্তুষ্ট শতাধিক শীর্ষ নেতা