চাপে চিন, দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে আমেরিকা থেকে ভারতে আসছে বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ‘হারপুন’
চাপে চিন, দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে আমেরিকা থেকে ভারতে আসছে বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ‘হারপুন’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় হোক বা বাইডেনের শাসন, ভারত আমেরিকা সামরিক সম্পর্কে রোজই খুলছে নতুন দিগন্ত। কিছুদিন আগেই ভারতকে অত্যাধুনিক এমএইচ-৬০ আর মাল্টি রোল হেলিকপ্টার দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার আমেরিকার কাছ থেকে জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র 'হারপুন’ কিনতে চলেছে ভারত। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই মার্কিন কংগ্রেস এই ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রিতে সায় দিয়েছে।
চিনকে টক্কর ভারতের
এদিকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আধিপত্য খর্ব করতে অনেকদিন থেকেই একযোগে চলার বার্তা দিচ্ছে কোয়াড ভুক্ত দেশগুলি। চিনা আগ্রাসন রুখে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে প্রত্যেকেই। এমতাবস্থায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে ভারতের পাশে আমেরিকা দাড়ানোয় চিনের উপর চাপ যে কয়েক গুণ বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
৩০টিরও বেশি দেশের কাছে রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র
সূত্রের খবর, বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র 'হারপুন' কিনতে ৮ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার। এদিকে সমর বিশেষজ্ঞদের মতে আমেরিকার অস্ত্রভাণ্ডারের অন্যতম সেরা শক্তি এই হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র। এবার সেই মিসাইল ভারতের হাতে আসায় ভারতীয় সেনার শক্তিও যে আগের থেকে কয়েকগুণ বেড়ে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে ৩০টিরও বেশি দেশের কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
১৯৭৭ সালে প্রথম ব্যবহার
এদিকে ১৯৭৭ সালে প্রথম হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার শুরু হয় বলে খবর। যে কোনও ব়্যাডারের কড়া নজরদারি এড়িয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে বিশেষ ভাবে পারদর্শী এই ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে এই আধুনিক সমরাস্ত্র কেনার ব্যাপারে ট্রাম্প জমানা থেকেই কথাবার্তা চালাচ্ছিল ভারত। অবেশেষে সম্মতি দিল মার্কিন কংগ্রেস। এদিকে হারপুন বিক্রির ব্যাপারে ইতিমধ্যেই বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে পেন্টাগনের তরফে।
বিবৃতি পেন্টাগনের
পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি এক বিবৃতিতে স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছে ভারতকে হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করতে রাজি হয়েছে আমেরিকা। এর জন্য দুই দেশের মধ্যে মোট ৮ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসে সর্বসম্মোতিক্রমে পাশও হয়েছে এই প্রস্তাব। দ্রুত হারপুন জয়েন্ট কমন টেস্ট সেটও আমেরিকার কাছ থেকে কিনবে ভারত।
খুশি ভারতীয়ও সেনা আধিকারিকারা
অন্যদিকে এই চুক্তিতে খুশি ভারতীয়ও সেনা আধিকারিকারাও। উচ্ছ্বসিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকেরা। সীমান্ত সুরক্ষা ও সমুদ্র নজরদারিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র যে আগামীতে চিনের মতো শত্রুপক্ষের কালঘাম ছোটাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই চুক্তির মাধ্যে ইন্দো-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও আরও বেশ থানিকটা জোরদার হবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।