'পাকিস্তানের মতো হও',নেপাল-আফগানিস্তানের উদ্দেশে বার্তা চিনের! জোট-আঁতাতের কোন নয়া ফন্দিতে বেজিং
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা থেকে রাস্তা নির্মাণ এবং চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে এশিয়ার ৪ টি দেশের বৈঠক হয়। নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সঙ্গে বৈঠকে বসে চিন। লাদাখ সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এই হাইপ্রোফাইল বৈঠকে চিন আশাতীতভাবেই ভারত বিরোধীতার প্রসঙ্গ তোলে।
জোট-আঁতাতের চেষ্টা
চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর আফিগানিস্তান পর্যন্ত পৌঁছতে এশিয়ার চারটি দেশ একজোট হয়ে কাজ করুক। এই চারটি দেশ নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও চিন। এমনটাই দাবি বেজিং এর । হাইপ্রোফাইল ৪ দেশের বৈঠকে এভাবেই ভারতের বিরুদ্ধে পরোক্ষে সন্ধি করার চেষ্টায় বেজিং। এককালে ভারত ঘনিষ্ঠ নেপালকে ভারত বিরোধিতায় উন্মত্ত করে এবার আফগানিস্তান নিয়েও একই পন্থায় যেতে চাইছে চিন।
ভৌগলিক দিকে নজর চিনের
বিস্তারবাদের প্রবল নেশায় উন্মত্ত চিন। আর সেই প্রেক্ষাপট থেকে এদিনের বৈঠকে চিনের দাবি, ' ভৌগলিক সুবিধা, আদানপ্রদানের জমি পোক্ত করা, চারটি দেশের যোগাযোগ বাড়ানো ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যোগ বাড়ানো ' র ওপর জোর দিতে হবে। পাশপাাশি স্থানীয় শান্তির কথা বলে, নিজের সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন কে ঢেকে রেখে চিন নিজের সুপ্ত ইচ্ছা প্রকাশ করে।
পাকিস্তানের মতো হও
নিজের সমস্ত মরশুমের 'বন্ধু' পাকিস্তানের এদিন ভূয়সী প্রশংসা করে চিন। চিনের দাবি, ভালো প্রতিবেশী ভালো ভবিষ্যৎ এনে দেয়। আর সেই উদাহরণ দেখিয়ে বেজিং দাবি করে, আফগানিস্তান ও নেপালও যেন চিনকে দেখে শেখে। পাশাপাশি বেজিং পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের ইকোনমিক করিডর আফগানিস্তান পর্যন্ত বিস্তার করে হিমালয়ের কোলে যোগাযোগ পোক্ত করতে চায় বলেও জানিয়েছে।
গ্রিন চ্যানেলের দিকে জোর
আপাতভাবে করোনার দোহাই দিয়ে চিন এদিন দেশগুলির মধ্যে তড়িঘড়ি গ্রিন চ্যানেল খোলার দাবি জানায়। যাতে সংযোগ খুব সহজে বিস্তৃত হয়। উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে সংঘাতের প্রেক্ষিতে, বাকি দেশের সঙ্গে এশিয়ায় চিনের এমন আঁতাত গড়ার চেষ্টার দিকে কড়া নজর রাখছে দিল্লি।