লাদাখ ইস্যুর মাঝে ভারতের মিসাইল প্রজেক্টে কি ত্রস্ত চিন! রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে দিল্লিকে নিশানা বেজিংয়ের
১৯৯৮ সালের নিউক্লিয়ার টেস্ট নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের যে রেজোলিউশন রয়েছে তা পেশ করে বিশ্বমঞ্চে কার্যত দিল্লিকে একহাত নিল চিন। উল্লেখ্য, লাদাখ পরিস্থিতিতে ভারত চিন সম্পর্ক আগেরথেকে খানিকটা স্বাভাবিক হলেও, সেভাবে পুরনো পর্যায়ে ফিরে যায়নি দুই দেশের অবস্থান। ২০২০ সালে ৫ মে লাদাখের বুকে চিনের আগ্রাসনের পর থেকেই বেজিংকে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে অবস্থান করছে ভারত। লাদাখ নিয়ে প্রতিটি কূটনৈতিক চালেই ভারত সন্তর্পণে পা ফেলছে। তারই মাঝখানে অগ্নি-ভিন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালাস্টিক মিসাইল নিয়ে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ভারত। ভারতের এই মিসাইল প্রজেক্টকে টার্গেট করে বিশ্বমঞ্চে ভারতকে বিঁধতে ছাড়েনি চিন।
প্রশ্ন চিনের
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সমাবেশে ভারত যখন পাকিস্তানকে একহাত নিয়ে সেদেশের মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছে,তখনই পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিন টার্গেট শানিয়েছে ভারতকে নিয়ে। ভারতে অগ্নি মিসাইলের প্রজেক্ট ও পরীক্ষামূলক কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা।
কী চাইছে জিনপিংএর দেশ?
যেখানে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিরক্ষার্থে চিন বারবার ভারতের মিসাইল প্রজেক্ট বন্ধের কথা বলছে, সেখানে চিন নিজে বারবার পাকিস্তানের ব্যালাস্টিক মিসাইলের প্রজেক্টে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে যা নিঃসন্দেহে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। উল্লেখ্য, ইমরানের দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে জিনপিংয়ের চিনের সখ্যতা বহু ক্ষেত্রে। ব্যাবসায়িক দিক থেকে বারবার চিনের কাছ থেকে পাকিস্তান বহু সহায়তা পেয়েছে। সেই জায়গা থেকে পাকিস্তানের ব্যালাস্টিক মিসাইল তৈরিতে চিন ইউরেনিয়াম সরবরাহ করছে। ফলে চিনের উদ্দেশ্য ওয়াকিবহাল মহলের কাছে খুবই স্পষ্ট।
চিনের আসল ভয় কোথায়?
মূলত, চিনের আতঙ্ক ৫ হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের নিউক্লিয়ার মিসাইল যদি ভারত পরীক্ষামূলকভাবে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করতে পারে, তাহলে তে চিনের বহু শহরকে এক যোগে টার্গেটে রাখবে। ফলে তখন শক্তিধর দিল্লিকে রীতিমতো সমীহ করে চলতে হবে বেজিংয়ের তরফে। আর তাতেই আতঙ্কে চিন। চিনের বর্তমান পরিস্থিতির সাপেক্ষে ভারতের এই ব্যালাস্টিক মিসাইল নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বহু আলোচনা হয়েছে। চিনের মিডিয়াতেও লেখা হয়েছে এই পরিস্থিতি নিয়ে। এবিষয়ে চিন সরকারের প্রতিনিধি তথা বিদেশ সচিব ঝাও লিনকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, চিন আশা করে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ধরে রাখতে সমস্ত পক্ষই সমান সহায়তা ও উদ্যোগ নেবে।
কীভাবে পাকিস্তানকে সাহায্য করছে চিন?
জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের কাছে চিন একটি ট্র্যাকিং সিস্টেম বিক্রি করেছে। ২০১৮ সালে চাইনিজ অ্য়াকাডেমি অফ সায়ান্স জানিয়েছে যে , যাতে পাকিস্তান তাদের মিসাইল প্রস্তুতির পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করতে পারে তার জন্যই চিন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এদিকে, রাষ্ট্রসংঘে বক্তব্যের সময় চিন ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশেরই মিসাইল ক্ষমতাকে কমানোর কথা বলেছে।