নজরে কাশ্মীর, পাকিস্তানকে ৫০টি ড্রোন দিল চিন! যেভাবে ভারতকে ঘিরে ফেলছে বেজিং
চিন থেকে ৫০টি সসস্ত্র অ্যাটাক ড্রোন কিনল পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে ড্রোন তৈরির করার পরিকল্পনা রয়েছে বেজিংয়ের। পাকিস্তানের বায়ুসেনা এই ড্রোনগুলি যুদ্ধে ব্যবহার করবে বলেই জানা গিয়েছে। মূলত ভারতকে চাপে রাখতেই চিনের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

পাকিস্তান চিনের শরণাপন্ন
সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠা পাকিস্তানে যে দিন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক সাহায্য প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে এবং আধুনিক অস্ত্র দেওয়া থেকে বিরত থাকতে শুরু করেছে, সে দিন থেকে পাকিস্তান চিনের শরণাপন্ন হয়েছে। আর এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চিন ভারতকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।

ভারতকে অশান্ত করার চেষ্টা
দেখা গিয়েছে, বহু ক্ষেত্রেই ভারতকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে। এরই অঙ্গ হিসাবে পাকিস্তানকে খুবই শক্তিশালী ৫০টি সসস্ত্র ড্রোন বিক্রি করল। এছাড়াও ভারতের বিরুদ্ধে তৈরি হচ্ছে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। নতুন এই ষড়যন্ত্রের পোশাকি নাম চিন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর। এটি তৈরি করতে খরচ করা হচ্ছে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার।

একত্রিত ভাবে ২৫ হাজার সেনা মোতায়েন চিন-পাকিস্তানের
এই করিডর রক্ষা করতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভারত-পাক সীমান্ত বরাবর দুই দেশ একত্রিত ভাবে ২৫ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাক সেনা বাহিনীকে আধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। এক বার এই রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে চিন অনেক সহজে ভারত মহাসাগরে পৌঁছে যেতে পারবে।

পাকিস্তানকে ৮টি অত্যাধুনিক ডুবোজাহাজ
পাশাপাশি চিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা পাকিস্তানকে ৮টি অত্যাধুনিক ডুবোজাহাজ এবং একটি ডিফেন্স হেলিকপ্টার বিক্রি করবে। অন্য দিকে কয়েক মাস আগে পিপলস লিবারেশন আর্মির বিমান বাহিনী (পিএলএএএফ) সাইবার এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ এবং নজরদারির সুবিধার্থে পাকিস্তানের মাটিতে একটি অফিস খুলেছে। এই সবই ভারতকে সব দিক থেকে ব্যতিব্যাস্ত করে রাখার চিনা কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।

পাকিস্তান ও চিনের বর্বরোচিত আচরণের জবাব
পাকিস্তান ও চিনের বর্বরোচিত আচরণের সমুচিত জবাব দিতে ভারতকে আরও কড়া অবস্থান নিতে হবে। অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হওয়ার পাশাপাশি স্থলের লড়াইয়ে নিজেদের আরও শক্তিশালী ও উন্নত করে তুলতে হবে। এবং তা করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার তিন ধাপে এ দেশে প্রায় ২১০টি চিনা অ্যাপ বন্ধ করে উচিত জবাব দিয়েছে। চিনের অর্থনীতির উপর আরও কঠোর আঘাত হানতে আরও কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।