করোনা টীকার সফল পরীক্ষা, আশা দেখাল সেই চিন
করোনা টীকার সফল পরীক্ষা, আশা দেখাল সেই চিন
সেই চিনই দেখাচ্ছে আশার আলো। বাঁদরের উপর করোনা ভাইরাসের টীকার পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। চিনের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন পশুর শরীরে করোনা টীকার পরীক্ষা সফল হয়েছে। এতেই নতুন দিশা দেখতে শুরু করেছে বিশ্ব।
করোনা টীকার পরীক্ষা
করোনা ভাইরাসের টীকা তৈরির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশ। আমেরিকা, ব্রিটেন, স্পেন, ইতালি, রাশিয়া, থেকে বেলজিয়াম সকলেই করোনা ভাইরাসের টীকা হাতে পেতে চায়। চিন চুপচাপই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল। বেজিংয়ের সিনোভেক বায়োটেক নামে একটি গবেষণা সংস্থা PiCoVacc নামে কোভিড-১৯-র টীকা তৈরি করেছে। সেটা বাঁদরের শরীরে পরীক্ষা মূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। সেই পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রথম কোনও পশুর শরীরে এই টীকার পরীক্ষা মূলক প্রয়োগ হল।
কীভাবে পরীক্ষা
একেবারে সাদামাটা প্রক্রিয়ায় করোনা ভাইরাসের এই টীকা তৈরি করেছে চিনের বিজ্ঞানীরা। বাঁদরের শরীরে একটি প্রায় পঙ্গু হয়ে যাওয়া ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে অ্যান্টিবডি তৈির করেছে। সেই প্রক্রিয়া সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণা কোন পথে
বিশ্বের করোনা আক্রান্ত ১১ জন রোগীর ১১ রকমের ভাইরাস সংগ্রহ করেছিলেন তাঁরা। তারমধ্যে ৫টি চিনের, ৩টি ইতালির, একটি করে সুইৎজারল্যান্ড এবং ব্রিটেনের এবং একটি স্পেনের। গবেষকরা তারমধ্যে বাঁদরের শরীরে টীকার দুটি ডোজ দেন। তারপরে বাঁদরটির ফুসফুসে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করান তাঁরা। তাতে দেখা গিয়েছে বাঁদরটি সুস্থ রয়েছে এবং করোনা ভাইরাসের কোনও প্রভাব তার উপরে পরেনি।
৭টি দেশ টীকা পরীক্ষা করছে
এই মুহূর্তে বিশ্বের সাতটি দেশ করোনার টীকা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। তারমধ্যে শুধুমাত্র চিনেই চার রকমের টীকার পরীক্ষা চলছে। আমেরিকা এক রকমের টীকা এবং ব্রিটেন এক রকমের টীকা পরীক্ষা করেছে। আমেরিকা এবং জার্মানি যৌথ উদ্যোগে আবার টীকা পরীক্ষা করেছে। ইজরায়েল আবার দাবি করে বসেছে তাঁরা করোনার টীকা পেয়ে গিয়েছে।
টীকা পেতে মরিয়া আমেরিকা
করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ আমেরিকায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার দাবি করে বসেছেন ২০২০ সালের মধ্যেই করোনার টীকা পেয়ে যাঁবেন তাঁরা। তার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রতীকী ছবি
মিরাকেল! টানা ৩৮ দিন ভেন্টিলেটরে থেকে করোনা যুদ্ধ-জয়ের নজির কলকাতায়